নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আসন্ন ১৭ অেেক্টাবর জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এবার সোনারগাঁ উপজেলা অনেকের নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত ৫ জন সদস্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এরা হলেন, গতবারের জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, গতবারের প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থী ও জেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংবাদিক শেখ এনামুল হক বিদ্যুৎ ও কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ছোট ভাই ফারুক ওমর ও মহিলা সদস্য পদে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম রুমা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

সুত্র মতে গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলা থেকে ৩জন পুরুষ ও একজন মহিলা নির্বাচিত হলেও এবার নির্বাচন কমিশন এটাকে সংশোধন করে প্রতিটি উপজেলা থেকে একজন পুরুষ ও তিনটি উপজেলা থেকে একজন নারী সদস্য নির্বাচিত করার পদ্ধতি চালু করেছেন। ফলে অন্য বারের চেয়ে এবারের নির্বাচন প্রতিটি সদস্যদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁ উপজেলা থেকে ৩টি ইউনিয়নের জন্য ১জন পুরুষ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া পুরো উপজেলা থেকে একজন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। এবার নির্বাচনেও পদ্ধতি আলাদা হওয়ার কারণে নির্বাচনও আলাদা পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৩টি।

এ ব্যাপারে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম জানান, তিনি গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। জয় লাভের পর তিনি তার নির্ধারিত ইউনিয়নগুলোতে রাস্তাঘাট, মসজিদ-মাদ্রসাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি এবারও প্রার্থী হয়েছেন। তিনি জানান, গতবার নির্বাচিত হওয়ার পর তার এলাকায় যে ভাবে উন্নয়ন করেছেন সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোটারা এবারও তাকে ভোট দিয়ে পূর্নরায় নির্বাচিত করবেন।

জেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল জনান, গতবার তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলেন। সে নির্বাচনে জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক ভুইয়ার সাথে ভোটে ড্র করেন। পরে লটারীর মাধ্যমে তিনি হেরে যান। তিনি আশা করেন গতবার ভাগ্যের কাছে তিনি হেরে গেছেন এবার আল্লাহ চায় তো তিনি নির্বাচিত হবেন।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার জানান, তিনি এবার প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন। রাজনৈতিক জীবনে তার অনেক পরিচিতি আছে। উপজেলা যুবলীগকে সুসংগঠিত করতে দলের জন্য কাজ করেছেন। সেজন্য দলের যারা নির্বাচিত জন প্রতিনিধি রয়েছে তারা তাকে মুল্যায়ন করবেন।

সাংবাদিক এনামুল শেখ বিদ্যুৎ এবার প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। তার ব্যক্তি জীবনে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে ছাত্রজীবন থেকে জড়িত রয়েছেন। সাংবাদিক হিসেবেও তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যে তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন।

এদিকে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমরের ছোট ভাই ফারুক ওমর। ব্যক্তি জীবনে তিনি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তাদের দুই ভাই জনপ্রতিনিধি সেই লক্ষ্যে তিনিও এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন।

এবার নির্বাচনে জেলা পরিষদের মহিলা পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম রুমা। কোহিনুর রুমা জানান ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় তিনি উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কোহিনুর ইসলাম রুমা গত জেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ গ্রহন করেছিলেন। সেই নির্বাচনে মহিলালীগের নেত্রী এডভোকেট নুরজাহানের সাথে প্রতিদ্ধন্ধিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ আগামী ১৭ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তরিখ আগামী সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৮ সেপ্টোম্বর। আপীলের শেষ তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতিক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ভোট গ্রহণ ১৭ অক্টোবর।