নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁয়ের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত পানি বন্ধে কয়েক হাজার লোক জড়ো করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানব বন্ধন করা হবে। তারপরও আমি চাই এ বিষাক্ত থাবা থেকে সোনারগাঁবাসী কলঙ্কমুক্ত হওক। শুক্রবার বিকালে পৌরসভার টিপরদী এলাকায় অবস্থিত চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্য পরিদর্শন শেষে বিষাক্ত বর্জ্যের গোপন সুয়ারেজ বালি দিয়ে বন্ধের সময় তিনি এ ঘোষনা দেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আমি সরকারের এমপি হিসেবে সোনারগাঁবাসীর সুখ দুঃখ দেখা আমার কর্তব্য। একজন সংসদ সদস্য হয়ে আমার এলাকায় একটি কোম্পানী বর্জ্য ফেলে আমার খাল-বিল নদী-নালা পুকুর-জলাশয় নষ্ট করবে সেটা আমি হতে দিবো না। বিগত দিনে যারা সোনারগাঁয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা চৈতী নামের বিষাক্ত কোম্পানী গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন। এখন কুফল ভোগ করছে আমার সোনারগাঁবাসী। এজন্য মানুষ আমাকে দোষারোপ করবে সেটা হবে না। কোম্পানী করেছেন ভালো কথা কিন্তু সরকারের নিয়মনীতি অনুসরন করে চালাতে হবে কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। এখানে বর্জ্য ফেলার আগে ইটিপি ব্যবহার করে পানি বিষমুক্ত করে ফেলতে হবে। যাতে আমার সোনারগাঁবাসী অতীতের মতো খাল-বিল নদী নালার পানি নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে।
জানাগেছে, সোনারগাঁ পৌরসভার টিপুরদী এলাকায় ২০০১ সালে চৈতি কম্পোজিট নামের একটি কোম্পানি গড়ে উঠে। কোম্পানি স্থাপনের পর থেকে কোম্পানির ক্যামিকেল মিশ্রিত বর্জ্য স্থানীয় খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করে। এ অভিযোগে কয়েক দফায় কোম্পানির গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ অর্থিক জরিমানা করা হয়। সম্প্রতি চৈতি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাদের কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি কয়েকটি সুরঙ্গের মাধ্যমে খালে ফেলে ওই এলাকায় মোগরাপাড়া. পিরোজপুর, সনমান্দি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ ৩০টি গ্রামের লোকজনের পানি ব্যবহার অনুপযোগী করে তোলে। কোম্পানির বর্জ্য পানিতে ফেলার কারনে স্থানীয় কয়েকজনের পুকুরের মাছ মরে যায়। এছাড়াও এলাকার মানুষ পানি ব্যবহার করতে পারছেন না।