নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে বুুুধবার বিকেলে পৌরসভার বালুর মাঠে জনসভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সভাপতিত্ব বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগে নেতা ইকবাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রবিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর আক্তার রুমা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বাবু, কাউন্সিলর আলী আকবর, সাবেক কাউন্সিলর লায়ন মোশারফ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রজম্মলীগের সভাপতি আরমান মেরাজ, যুবলীগ নেতা সালাম, অপু ছাত্রলীগ নেতা রাসেদ ও সুজন, জামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট শাহাজাদা সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগের কর্মীরা যোগদান করলেও পৌরসভা ছাড়া দেখা যায়নি উপজেলার অনেক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন সামনে পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবলীগ সোনারগাঁয়ে আহবায়ক কমিটির সদস্যদের বাদেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও মাহফুজুর রহমান কালামকে সাথে নিয়ে জনসভাটি করলে পৌরসহ অন্যান্য এলাকার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকতে পারতো। পৌরসভা এলাকার মধ্যে যুবলীগের সমাবেশ করলে পৌরসভার নেতারাও অনুষ্ঠানস্থলে আসেননি। এছাড়া গত এক বছর ধরে উপজেলা যুবলীগ দু’ভাবে বিভিক্ত হয়ে যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এক রয়েছেন রফিকুল ইসলাম নান্নুর সাথে অপর ভাগটি রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারের সাথে। যা বিরুর কর্মী হিসেবে পরিচিত।
অপরদিকে, আসন্ন পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে যুবলীগের জনসভায় পৌর মেয়র পদপ্রার্থীদের দাওয়াত দিলেও একমাত্র গাজী মুজুবুর বহমান ছাড়া বাকি ৫ প্রার্থীর দেখা মেলেনি। তবে জনসভায় উপস্থিত না হওয়ায় কায়সার হাসনাত তাদের উপর কোন দোষ না চেপে তিনি দোষারোপ করেন জাতীয়পার্টি ও আহবায়ক কমিটিকে। তিনি অভিযোগ করেন জনসভায় বলেন, জাতীয়পার্টির প্রেতাত্মাদের জন্য মেয়র প্রার্থীরা জনসমাবেশ স্থলে আসেন নি। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন শেখ হাসিনার যার হাতে নৌকা প্রতিক তুলে দিবেন তার হয়ে তিনি নির্বাচন করবেন। এদিকে মেয়র প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগ যদি মেয়র প্রার্থীদের একমঞ্চে ডাকবেন তাহলে আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকেও ডাকতে পারতেন। এখন কায়সান হাসনাতে জনসভায় যদি তারা যান তাহলে কায়সার হাসনাতের চাচা, কালাম ও আহবায়ক নেতারা তাদের উপর ক্ষেপে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের সময় তাদের নানাবিধ সমম্যারও সম্মুখিত হতে পারেন। এছাড়া যুবলীগ যদি প্রার্থিদের দাওয়াত করবেন তাহলে জনসভার প্রস্তুতিমুলক সভায় শুধু গাজী মুজিবুরকে কেন রাখলেন সেখানে তো তাদের ডাকতে পারতেন। এতে প্রার্থীদের নেতাকর্মীরাও জনসভায় যোগ দিতো।
তবে এ জনসভাকে ঘিরে প্রার্থীদের না যাওয়া ও অন্যান্য নেতাকে না রাখা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও কায়সার হাসনাতের একক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বকে দায়ী করেন।