নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগোছালো নির্বাচনী মাঠকে গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। অপরদিকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন জাতীয়পার্টির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত।

জানাগেছে, থানা বিএনপির সেক্রেটারী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দুদিন আগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যহতি নেন। তার অব্যহতির পরই তার মনোনয়নের প্রাপ্তিতা অনেক খোলাশা হয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসন থেকে ২২ জন বিএনপি নেতা মনোনয়ন পত্র কিনলেও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিযোগিতা হয় সাবেক এমপি রেজাউল করিম ও মান্নানের মধ্যে। দুজনের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে যান মান্নান। চারবারে নির্বাচিত এমপি ও ৫বার দলের মনোনয়ন পাওয়া রেজাউল করিমকে পিছনে ফেলে মনোনয়ন ভাগিয়ে দেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। মনোনয়ন পাওয়ার দিন রাতেই ছুটে যান সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের বাসায়। সেখানে তিনি রেজাউল করিমের দোয়া নিয়ে নেমে পড়েন মাঠে। এদিকে, মান্নান মনোনয়ন পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন রেজউল করিমের সমর্থকরা। তারা প্রকাশ্যেই মান্নানের বিরুদ্ধাচরন করেন। সেই ক্ষুদ্ধ নেতাদের মান ভাঙ্গাতে প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন মান্নান। নির্বাচনের জন্য কর্মী সমর্থক গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এছাড়া মান্নান নির্বাচনের জন্য একটি অভিজ্ঞ নির্বাচনী দলও তৈরী করছেন যারা এর আগে বিভিন্ন নির্বাচনগুলোতে দলের জন্য কাজ করেছেন।

অপরদিকে, সোনারগাঁ আসনে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। জাতীয়পার্টির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী এরশাদের পালিত কন্যা মৌসুমীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তবে, আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টি মহাজোট গঠন করলেও সোনারগাঁয়ে এখনো পর্যন্ত কোন দলীয় নির্দেশা না পাওয়ায় মাঠে কাজ করতে পারছে না লিয়াকত হোসেন খোকা। যদিও এ আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় অনেকটা পরিস্কার যে এখানে মহাজোটের জন্য আসনটি ছেড়ে দিবে আওয়ামীলীগ কিন্তু দল থেকে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষনা না করার কিছুটা বিভ্রান্তিতে রয়েছে জাপা ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত দলের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এখানে কায়সার হাসনাত ছাড়াও তার চাচা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া এখানে আরো ১২ জন প্রার্থী আওয়ামীলীগের মনোনয়নের কিনেছিলেন। এ আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থীকে দলীয় চিঠি না দেওয়ায় আওয়ামীলীগের দুজন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদিকে আসনটি মহাজোটকে দিবে নাকি আওয়ামীলীগের হাতে রাখবে তা এখনো স্পষ্ট করছেনা কেন্দ্র। ফলে এ আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন জমার শেষ দিনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী কায়সার হাসনাতকে আওয়ামীলীগে সমর্থন জানানোর জন্য বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা প্রাঙ্গণে। তবে নারায়গঞ্জ জেলার দুটি আসন মহাজোটের জন্য ছেড়ে দেয়া হবে চাউর হলেও মুলত নারায়ণগঞ্জ-৫ (বন্দর -সদর) এ স্পষ্ট করে দিয়েছে মহাজোট। কিন্তু সোনারগায়ের ব্যাপারে এখনো চলছে লুকোচুরি খেলা। ফলে আগামী ৯ তারিখের দিকে তারিখে আছে জাপা ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।