নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর : সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান আব্দুর বাতেন। সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরো দুজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হোন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। নৌকা প্রতিকে পরাজিত হয়ে তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী উপর দোষ চাপান। তিনি অভিযোগ করে স্থাণীয় নেতারা তাকে সমর্থন না দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। সেজন্য তিনি বিপুল ভোটে পরাজিত হোন। এদিকে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে একটি ভিডিও পোষ্ট করেন ফেসবুকে। সেখানে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী আব্দুল বাতেন নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডঃ সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার নৌকা বিরোধী অবস্থানে কথা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে আব্দুল বাতেন বলেন, এডঃ সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। এবং তাকে পরাজিত করার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ দেওয়ান ও এডঃ সামছুল ইসলাম ভূঁইয়ার আপন ভাইয়ের ছেলেকে নির্বাচনে ধার করায়। তার বিরুদ্ধে দলীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন আহ্বায়কের এমন ভূমিকার কথা তুলে ধরে কেন্দ্র ও দেশের বাসীর কাছে বিচার দাবি করেন। সময় আব্দুল বাতেন কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে নৌকার প্রার্থী পরাজয় ও তার কান্না জড়িত ভিডিও দুইদিন না যেতেই এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া উপজেলায় ভুড়িভোজ করে নৌকার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সংর্বধনা দিয়ে নৌকায় যোগদান করান।
এদিকে তার যোগদানে পর তৃনমুল নেতারা অভিযোগ করে বলেন, নৌকার পরাজিত প্রার্থী বাতেন পরাজিত হওয়ার জন্য আহবায়ককে দায়ী করেছেন সেটা আমাদের বিশ্বাস যোগ্য না হলেও এখন সামসুকে তারাহুড়ো করে সংবর্ধনা দিয়ে তার সাথে নিয়ে আসায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। তারা আরো জানান, সামসুল আলম এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এরপর তিনি জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেন। এখন তার জাতীয়পার্টিতে পদ-পদবী রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল বাতেনের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। যারা দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগ করে আসছে তাদেরকে পরাজিত করিয়ে আজ তাকে আওয়ামী লীগের বানিয়েছে। অথচ নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চোখের পানিতে ভাসছে।
এ ব্যাপারে এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, সামসু জনগনের ভোটে কোন দলীয় প্রতীক ছাড়াই জয়লাভ করেছেন। তাই দলের স্বার্থে তাকে আওয়ামীলীগে যোগদান করিয়েছি। এতে দলের শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।