দলীয় সূত্র বলছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁ পৌর সভার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম মাঠে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের ৩ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
কলাপাতা রেষ্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন
সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নবিউল্লাহ হিরু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল ক্রান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহীদ মো. বাদল।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন হওয়ার পর প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখন পর্যন্ত পদে আসা নেতারা জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটিই জমা দেননি। সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে কমিটি জমা দেয়ার কথা বললেন তিনি নানা উপায়ে ফসকে যান। আজ নয় কাল এই কাজে ব্যস্ত আছিসহ নানা উপায়ে তিনি এড়িয়ে যান।
যার ফলে জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের ইচ্ছা থাকলেও সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার কথা বলেছি। পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাগজ হাতে পেলে যাছাই বাছাই করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেয়ার চেষ্টা করবো। কারণ কমিটি না হলে তো দল শক্তিশালী হবে না।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ বছর আগে আব্দুল হাইকে সভাপতি ও আবুল হাসনাতকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়ে ছিল। এরপর আব্দুল হাই ও আবুল হাসনাত মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান কালাম ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এরপর ২০১৯ সালে ১৫ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল। তখন কমিটিতে অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহবায়ক ও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমানকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী ও জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন খান আবুকে নতুন কমিটিতে সদস্য করা হয়।
কিন্তু এই কমিটি নিয়ে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগে অনেক ঘটনা ঘটে যায়।
তারপর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পূর্বে ঘোষণা করা আহ্বায়ক কমিটিকে পুনর্বিন্যাস করে এ কমিটিতে অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ্ আল কায়সার এবং ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়ে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।