নিউজ সোনারগাঁ টুয়েণ্টিফোর ডটকম: গত কয়েকদিনে সোনারগাঁ উপজেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও প্রতিবাদে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে সোনারগাঁয়ের রাজনীতি। এক দল আরেক দলের নেতাদের দোষারোপের মধ্যেিই ইতিমধ্যে উতপ্ত হয়ে উঠেছে সোনারগাঁয়ের রাজনীতি। আর এ ইস্যুটা শুরু হয় সোনারগাঁও জি আর ইনিষ্টিটিউশনের নামফলক ভাঙ্গা নিয়ে। গত ১৭ নভেম্বর সোনারগাঁও জি আর ইনিষ্টিউশনের মুল ফটকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামে লাগানো একটি নামফলক কে বা কাহারা ভেঙ্গে ফেলে ফেলে। এ নিয়ে ওই দিন রাতেই নারায়ণগঞ্জের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন নামফলক ভাঙ্গার অভিযোগ তুলেন সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পরের দিন নারায়ণগঞ্জ জেলায় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন মহানগর আওয়ামীলীগ। সে মিছিলে নামফলক ভাঙ্গার জন্য লিয়াকত হোসেন খোকাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। এরপর যদি ওনি ক্ষমা না চান তাহলে নারায়ণগঞ্জ জেলা অচল করে দেয়া হবে। এছাড়া পরের গত বৃহস্পতিবার সকালে সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ কায়সার হাসনাতের নেতৃত্বে সোনারগাঁও জি আর বিদ্যালয়ের সামনে পৌর আওয়ামীলীগের ব্যানারে একটি প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করা হয়। এদিকে, পুরো নারায়ণগঞ্জ যখন নাম ফলক ভাঙ্গার প্রতিবাদ জোড়ালো হতে থাকে তখন লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করে নামফলক ভাঙ্গার সাথে পৌরসভা ছাত্রলীগ জড়িত। একটি পক্ষ লিয়াকত হোসেন খোকার উন্নয়নে ঈর্ষাম্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। এদিকে এ বিজ্ঞপ্তির পর সোনারগাঁও পৌর সভা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিন ও সাধারণ সম্পাদক সাহারিয়ার সাজু তাদের ফেসবুক আইডি আবু নাঈম ইকবালের বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন নাম ফলক ভাঙ্গার সাথে ছাত্রলীগের কোন সম্পৃতা নেই। এদিকে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁও জি আর ইনিষ্টিটিউটনের সামনে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিশাল প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করে জেলা ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী এবং পৌর মেয়র প্রার্থীরা। সেখানে নামফলক ভাঙ্গার অভিযোগ এনে লিয়াকত হোসেন খোকাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন অশোভন বক্তব্য রাখেন বক্তরা।