নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: রাজনীতি নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগে দুই বর্ষিয়ান নেতার বাকবিতন্ডার পর এবার বিজয় র‌্যালিতে এক সাথে হাস্যজ্জল কথোকথনের মধ্যে দিয়ে বিজয় র‌্যালিতে অংশ গ্রহন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম।

আজ (২৫ জুন) শনিবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে পদ্মা সেতু উদ্ধোধন উপলক্ষে বিজয় র‌্যালিতে তারা দুজন এক সাথে অংশ গ্রহন করেন। টানা দুই দিন সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে বাকবিতন্ডার পর একসাথে দুই নেতার অংশ গ্রহনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তৃনমুল নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, আজ শনিবার সকালে অনুষ্ঠানিক ভাবে বহু কাংঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু উদ্ধোধন উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ এক বিজয় র‌্যালির আয়োজন করে। সেতু উদ্ধোধন উপলক্ষে শনিবার সকালে মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আসেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, যুগ্ন- আহবায়ক সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর  রহমান, নাসরিন সুলতানা ঝরা, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, পৌর মেয়র প্রার্থী গাজি মুজিবুর রহমান, এডভোকেট ফজলে রাব্ব, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও পৌর মেয়র প্রার্থী ছগির আহম্মেদসহ বিভিন্ন অংশ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বিজয় র‌্যালিতে অংশ গ্রহন করেন কয়েক শত মোটর সাইকেল।

বিজয় র‌্যালি উপলক্ষে সকালে স্কুল মাঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আহবায়ক সামসুল ইসলাম ভুইয়া, সাবেক এমপি কায়সার ও মাহফুজুর রহমান কালাম। বক্তব্য শেষে বিজয় র‌্যালি উদ্ধোধন করেন সাসমুল ইসলাম ভুইয়া সেই বিজয় র‌্যালিতে দেখা যায় এডভোকেট সামমুল ইসলাম ভুইয়া তার সাথে মাহফুজুর কালামকে দাড়ানোর জন্য জায়গা করে দেন। পরে তারা হাস্যজ্জল মুখে দুই জন দুই জনের সাথে কথোকথন করেন। তাদের এই হাস্যজ্জল ছবি যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগের ৭৩ বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরীর মা মনোয়ারা বেগমকে মরনোত্তর কেস্ট প্রদান উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আওয়ামীলীগের ৭৩ বছরে এসে উপজেলা আওয়ামীলীগে রাজাকারদের স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। তার এমন মন্তব্যের পর টানাপোড়া শুরু হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। কালামের এমন মন্তব্যের পর ওই দিন সন্ধ্যার দিকে কালামের এ বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করে ফেসবুক লাইভে মন্তব্য করেন আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া। পরের দিন সামসুল ইসলামের এ বক্তব্যকে চ্যালেন্স করে বক্তব্য প্রদান করেন মাহফুজুর রহমান কালাম। দুই নেতা দুই দিনের বক্তব্যে পর অস্থিরতা বিরাজ করে উপজেলা আওয়ামীলীগে। আজ দুই নেতার কথোকথনের মাধম্যে সেই অস্থিরতা অনেকাই কেটে গেছে বলে ধারনা করছের তৃমুল নেতাকর্মীরা।