নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নানকে হুশিয়ারী দিয়ে শামীম ওসমান বলেন আর মান্নানকে সাহেবকে নিয়ে বলতে চাই, নির্বাচন করছেন নির্বাচন করেন কোন আপত্তি নাই। ভোট দিলে পাস করবেন। কিন্তু আমি যা শুনি সেগুলো যদি হয়, যদি মনে করেন অন্য পথ ধরবেন, তাহলে আমি বলে যাচ্ছি দশ বছর আমরা বহু অত্যাচারিত হয়েছি। বাড়ি ঘরে হামলা হয়েছে। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাড়ি থেকে আরম্ভ করে আওয়ামীলীগের এমন কোন বাড়ি নাই যেখানে হামলা করা হয়নি। চন্দনশীলের পা নাই, ২০জন মানুষ হারিয়েছি। মনে করিয়ে দিয়েন না। দশ বছর ক্ষমতায় আছি বিএনপির নেতার গায়ে একটি ফুলের টোক্কা দেই নাই। যদি মনে করেন এটা দূর্বলতা তাহলে পরিষ্কারভাবে বলে যাই এটা আমাদের দুর্বলতা না। আমরা ক্ষমা করেছি। কিন্তু কেউ যদি এবার অন্য কোন পথ অবলম্বন করেন, যদি চিন্তা করেন জ্বালাওপোড়াও করবেন, ২৪ তারিখের মধ্যে ঘটনা ঘটানো হবে, ২৪ তারিখের আগেই দেশে কিছু ঘটনা ঘটানো হবে। ওরা নির্বাচন করতে চায়না, ওরা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কোথায় কি হয় জানিনা। নারায়ণগঞ্জে কিছু হতে দেয়া হবে না। সোনারগাঁয়ের মান্নান সাহেব আপনাকে আমি চিনি, আপনার দৌড় কতটুকু তাও আমি জানি। আমি আপনাকে পরিস্কারভাবে বলতে চাই সাবধান, একদম সাবধান। এখানে কোন খেলা খেলবেন না। ওই জায়গা থাকবে না কিন্তু, মা কইয়া গো কইতে সুযোগ দিমুনা। পরিস্কার কইয়া দিলাম। কোন ছাড় হবে না। কারন লড়াইটাই হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে লড়াই। রোববার বিকালে উপজেলান আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ হুশিয়ারী দেন।
এ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিএনপির অপজিশন প্রার্থী হচ্ছে মান্নান। সেও আমারে মানে। আমি তাকে দুশমন ভাবিনা। মান্নানের বুঝা উচিত এটা তো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন না। জাতীয় সংসদে মানুষ যায় আইন পাশ করার জন্য। আইন পাস করতে হলে ওখানে বাংলা ইংরেজী অনেক লেখা থাকে, পড়তে হয়। আমরাও এলএলবি পাস করেও পড়তে পারিনা। এখন আইন সভায় যাবো, আইন সভায় যাইয়া আমি যদি পড়তেই না পাড়ি তাহলে আইন সভায় যাইয়া করবটা কি আমরা? রাজনীতি কোন জায়গায় চলে যাচ্ছে। বিএনপি এতই অসহায় হয়ে গেছে, আমাদের শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী রেজাউল করিম ভাই উনাকে যদি বিএনপি মনোয়ন দিতো তাহলে আমি ভাবতাম ঠিক আছে। একজন যোগ্য মানুষকে মনোনয়ন দিয়েছে। যে লেখাপড়া জানে, যার পিছনে জ্ঞান বুদ্ধি আছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মান্নানকে ছোট করে দেখছিনা। জাতীয় সংসদে কথা বলতে গেলে কিছুটা যোগ্যতা লাগে। পার্লামেন্টে কথা বলতে গেলে প্রথমে তো লিখতে হবে পার্লামেন্ট। মেম্বার অব পার্লামেন্ট লিখতেও তো কষ্ট হয় অনেকের।
বিএনপি নির্বাচনে হামলার নাটক সাজাচ্ছে বলে মন্তব্য করে শামীম ওসমান বলেন, নাটক করতে করতে এক সময় যদি আমরা বুঝি আপনারা নাটক করছেন। তখন বলবো এরা এমনেও নাটক করে ওমনেও নাটক করে, তখন আমরা যদি ধরি, একবার যদি ধরা শুরু হয় বাংলাদেশে থাকা কিন্তু আপনাদের থাকা সম্ভব হবেনা। নাটক কইরেন না। জনগণের ভোটে পাস করেন আপত্তি নাই। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। এই নির্বাচন খোকার নির্বাচন না, কসম করে বলছি এই নির্বাচন স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন। দেশটাকে বাঁচানোর নির্বাচন। নতুবা এই দেশ আফগানিস্তান হয়ে যাবে, জঙ্গীবাদের দেশ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা কি এখণও চুপ করে থাকবো? আমি থাকবো কিনা জানিনা। আমাকে প্রতি মুহুর্তে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০০১ সালের ১৬ জুন আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমার চোখে আমি মৃত। আমার জীবন নিয়ে চিন্তা নাই। এই লড়াই দেশ বাচাঁনোর লড়াই।