নিউজ সোনারগাঁ টুূয়েন্টিফোর ডটকম: ৮ ম ধাপে আগামী ১৫ জুন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ইবিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে , যাছাই বাছাই ১৯ মে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ২৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৭ মে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগের দুই জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিফ মাসুদ বাবু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মো. সোহাগ রনি। অন্য কোন দলের নেতাকর্মীরা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন কিনা তা এখন নিশ্চিত হতে পারেন নি গণমাধ্যম কর্মীরা।
জানা গেছে, পৌরসভার ছোট সিলমান্দি এলাকার সীমানা নিয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও সোনারগাঁও পৌরসভার মধ্যে একটি জটিলতা শুরু হয়। সীমানা নির্ধারনের জন্য আদালতের দারস্ত হোন সোনারগাঁও পৌরসভা। এরপর মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের একজন ইউপি সদস্য ওয়ার্ড বন্টনের ক্ষেত্রে অসংগতি নিয়ে একটি মামলা করেন। সে মামলার দীর্ঘদিন শুনানী শেষে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে আগামী ১৫ জুন নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণ করেন নির্বাচন কমিশন।
তবে এ পর্যন্ত দুইজন আওয়ামীলীগের প্রার্থী নৌকা প্রতিকের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে একজন পাবেন নৌকার মনোনয়ন। এখন প্রশ্ন হলো দুই জনের মধ্যে একজন মনোনয়ন পেলে আরেকজন কি বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন নাকি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন? এ নিয়ে চলছে মোগরাপাড়াবাসীর মধ্যে জল্পনা কল্পনা।
এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৭ এপ্রিল। এদিকে নির্বাচনে আসবে না বিএনপি। তবে উপজেলার অন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কয়েকটিতে জাতীয়পার্টির প্রার্থী থাকলেও মোগরাপাড়া ইউনিয়নে এখনো অন্য দলের প্রার্থী দেখা যায়নি। যদি অন্য কোন দলের প্রার্থী না আসে তাহলে নির্বাচন কি হবে নাকি সিলেকশন হবে।
সে ক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা জানান, বর্তমানে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন নির্বাচনে সরকার দলীয় দুইজন প্রার্থীই চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু। যিনি টানা দুবার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যার পদে রয়েছেন। অপরদিকে শাহ মো. সোহাগ রনি এবার চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রথম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সে ক্ষেত্রে যদি আরিফ মাসুদকে দলীয মনোনয়ন দেয়া হয় সেক্ষেত্রে সোহাগ রনি কি নির্বাচনে যাবেন কিনা? আবার সোহাগ রনিকে দলীয় মনোনয়ন দিলো আরিফ মাসুদ বাবু নির্বাচনে যাবেন কিনা? তবে স্বাধীন দেশে সবাই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে কোন বাঁধা নেই। তবে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ দিয়েছেন দলীয় হাই কমান্ড। দলীয় নির্দেশ রয়েছেন কেউ যদি দলীয় প্রতীক না পেলে বিদ্রোহী হিসেবে অংশ গ্রহন করেন তাহলে দল থেকে বহিস্কার হবে এবং তিনি কোন দলীয় পদে আসতে পারবেন না। যা ইতিপূর্বে সোনারগাঁয়ে দেখিছি। যারা বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছে তারা বহিস্কার ও পদ বঞ্চিত হয়ে দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন। সে ক্ষেত্রে সোহাগ রনি বা আরিফ মাসুদ সেই রিস্ক নিবেন কিনা? যদি দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে তাদের দুই জনের একজন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন তাহলে নির্বাচন হবে নয়তো তাদের দুই জনের একজন সিলেকশনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।