নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
শামীম ওসমানের ঘোষণাকেও নিজের প্রতীক সিংহ নিয়ে মাঠে অনড় রয়েছেন সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত। একই সাথে তিনি জানিয়েছেনও কে কী বলেছে সেসব নিয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই। সময় মতো সব কিছুর জবাব দেওয়া হবে।
গত ১৬ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় শামীম ওসমান দৃঢ়তার সাথে বলেছিলেন, কায়সার হাসনাত তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে ১৯ তারিখ থেকে লাঙলে ভোট চাইবে।’ তবে, সাংসদের এই ঘোষণাকে কোনো পাত্তা না দিয়েই নিজের মতো করে সিংহ প্রতীকের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কায়সার। আর এতে করেই তিনি প্রমাণ দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত তিনি ভোটের মাঠে থাকছেন। আজ সাদিপুর ইউনিয়নে দিনভর গণসংযোগ করেন।
এদিকে কায়সার হাসনাতের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, কোনো হুমকি ধামকিতেও দমে যাবার মানুষ নন কায়সার হাসনাত। তিনি তৃণমূলের দাবির প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন এবং শেষ পর্যন্ত থাকবেনও। এখানে কারো হুমকি আমলে নেওয়ার মতো কায়সার নন।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন কায়সার হাসনাত। একই আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এখানে মাঠে রয়েছেন লাঙল নিয়ে বর্তমান সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ছাড় পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে। এ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও বিনাভোটে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো মূল্যায়ন কেরনি। অথচ আওয়ামী লীগ ছাড়া দেওয়ার কারণেই তিনি এমপি হতে পেরেছিলেন।
এছাড়াও তারা বলছেন, এখানে বিগত ৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের কোনো এমপি না থাকার কারণে দলটি সাংগঠনিক ভাবে একেবারেই নাজুক হয়ে গেছে। ফলে এবারও যদি আওয়ামী লীগের কোনো এমপি না আসে তাহলে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। মূলত দলটির অস্তিত্ব রক্ষার্থে এবং তৃণমূলের দাবির প্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছেন কায়সার।