নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া ও সদস্য ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরী বিরুসহ অন্যান্য উপজেলা নেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও যুবলীগেসহ অন্যান্য সংগঠনের তৃনমুল নেতাকর্মীরা। চলতি মাসের ২০ তারিখে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ওয়ার্ড উপনির্বাচনে নোয়াগাঁও যুবলীগ নেতা আওয়ামীলীগের সমর্থিত মেম্বার প্রার্থী মোক্তার হোসেনের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন জাতীয়পার্টির সমর্থিত সাকিব হাসান। সে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের হেভী ওয়েট নেতারা মাঠে নেমে কাজ করলেও ভোট শেষে তাদের সমর্থিত প্রার্থী ৪০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ আগষ্ট নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আলেক মিয়া মারা যাওয়ার পর ওই ওয়ার্ডটি মেম্বার শুন্য হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেই শুন্য পদে চলতি মাসের ২০ তারিখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। শুন্য পদে নির্বাচন করার জন্য তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এদের মধ্যে জাতীয়পার্টির সমর্থিত প্রার্থী সাকিব হাসান মোরগ প্রতিক নিয়ে ও আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থী মোক্তার হোসেন তালা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেন। সে নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, সদেস্য ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের অনুপ্রানিত করতে মেম্বার সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালান। অপরদিকে এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়ার বাড়ী নোয়াগাঁও ইউনিয়নে হওয়ায় সদেস্য বিরুও তার সাথে সমর্থন আদায়ের জন্য নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। কিন্তু জাতীয়পার্টির নেতাদের কাছে দিন শেষে ধরাশষী হন ক্ষমতাশীন দলের হেভী ওয়েট নেতারা।
নোয়াগাঁও আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, আওয়ামীলীগ টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আছেন। ১২ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকার পর নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের একটি ওয়ার্ড নির্বাচনে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতারা জাতীয় নির্বাচনের মতো তাদের প্রার্থীর পক্ষে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারনা চালায়। জাতীয়পার্টির পক্ষে শক্তিশালী কোন নেতা মাঠে নেমে কাজ না করলেও উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতারা প্রচারনা করেও একজন ওয়ার্ড মেম্বারকে জয়ী করতে পারেননি। একজন ওয়ার্ড মেম্বারের ক্ষেত্রে যদি এ অবস্থা হয় তাহলে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেয়র নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনগুলোর কি অবস্থা হতে পারে বলে নেতাদের কাছে প্রশ্ন ছুড়েন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জানান, নেয়াগাঁও ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবকের বাড়ী। সে ইউনিয়নের একজন ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থীকে জয়লাভ করাতে পারেননি তিনি। আহবায়কের সাথে সদেস্যসহ জেলা আওয়ামীলীগে একজন বড় নেতা আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের অনুপ্রাণিত করতে এখানে এসেছিলেন। এছাড়া ভোটের দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কত বড় বড় নেতা ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন তারপরও একজন মেম্বারকে জয়ী করতে পারেনি। জাতীয়পার্টির মত একটি দলের সমর্থিত প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয় উপজেলা আওয়ামীলীগের জন্য শুভকর নয় বলে মন্তব্য করেন যুবলীগন এ নেতা।