নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রদলের ১৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলা কাঁচপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বুধবার সকালে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্রদলের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। তারা গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সোনারগাঁও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গোপন মিটিং করছিল। এসময় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালায়। পুলিশ ওই গোপন মিটিংয়ে হানা দিয়ে সোনারগাঁও থানা ছাত্রদল নেতা মোজান্মেল, কাজী হিমেল, ফরহাদ হেসেন, আব্দুল হালিম, ওমর ফারুক, বিল্লাল হোসেন, রুহুল আমিন পাবেল, আবুল বাসার, সাইদুর রহমান, সাইজউদিন, জাকারিয়া খোরশেদ আলম, ইউনুছকে গ্রেফতার করে।
পরে গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালে মামলা দায়ের করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রনি ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিব গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। তারা বলেন, সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেপরোয়া ভাবে গ্রেফতার, গ্রেফতারের পর একের পর এক মামলা দায়ের স্বৈরশাসনের চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। ক্ষমতার শেষ সময়ে অবৈধ সরকার দেশব্যাপী ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গণ গ্রেফতার করছে। নিজেদের সীমাহীন অনাচার এবং চরম ব্যর্থতা আড়াল করতে ছাত্রদল নেতাদের গ্রেফতার করছে। আ.লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক হয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে। তারা আরো বলেন, গ্রেফতারের নামে নির্যাতন- নিপিড়ন বন্ধ না হলে জনগণের সন্মিলিত প্রতিরোধেই এই অত্যাচারী সরকারকে প্রতিহত করা হবে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মো: মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃতরা নাশকতা করতে গোপন মিটিং করছিল। বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।