নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক’দিন আগেও মিছিল-মিটিং সভা-সমাবেশ ও গনসংযোগে সরব ছিল সোনারগাঁ থানা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কিন্তু হঠাৎ করে নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকে নানামুখী চাপে নিবর হয়ে যায় বিএনপি। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী আজহারুল ইসলাম মান্নান দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর ঝিমিয়ে থাকা বিএনপি প্রাণ ফিরে পেলেও প্রশাসনিক চাপে তছনছ হয়ে যায় বিএনপির সকল পরিকল্পনা। তারা একাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ে।
সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়েও নির্বাচনের ফলাফল বিএনপির প্রতিকুলে যায়। নির্বাচনের দিন সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানসহ বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। এমনকি ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়নি বিএনপির এজেন্ট। ভোটের ফলাফলেও বিএনপি প্রতিযোগিতা থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছেন। ভোটের পাহাড় সমান ব্যবধান স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মন ভেঙ্গে দিয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন দুপুরে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা ছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এখন পর্যন্ত আর কোন বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়নি। নির্বাচনের পর থেকে সোনারগাঁ বিএনপি নিস্প্রান অবস্থায় রয়েছে।
জানাগেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসন থেকে সাবেক এমপি রেজাউল করিম, থানা বিএনপির সেক্রেটারী আজহারুল ইসলাম মান্নান, থানা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, স্বেচ্ছাসেবক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল মনোনয়ন জন্য দৌড়ঝাপ করেছিলেন। মনোনয়ন দৌড়ে সবাইকে পিছনে ফেলে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আসেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নির্বাচনের জন্য নামেন তার নেতাকর্মীরা। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিছিল-মিটিং সভা-সমাবেশ ও গনসংযোগে সরব হয়ে উঠে। একটা সময়ে তারা নির্বাচনী মাঠে জয়লাভ করার জন্য স্বপ্ন দেখতে থাকেন। কিন্তু প্রশাসন ও প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থীর চাপের কারনে মাঠ থেকে ছিটকে পড়েন তারা।