নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু জাফর চেীধুরী বিরু সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগে ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে জামপুর যুবলীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে দ্ধন্ধ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জামপুর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মুলত এ দ্ধন্ধ শুরু হলেও তা ছড়িয়ে পড়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই নেতার মধ্যে। ফলে যে কোন মুহুর্তে জামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘটতে পারে অনাকাক্ষিত ঘটনা। এর বিরূপ প্রবার পড়তে পারে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও।
জানাগেছে, ২০০৮ সালে সোনারগাঁয়ের সাংসদ নির্বাচনের পর কায়সার হাসনাতের হাত ধরে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে পর্দাপন করেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু। দীর্ঘদিন ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু কায়সার হাসনাতের সাথে রাজনীতিতে করলেও কায়সার হাসনাতের মেয়াদ শেষ হওয়ার দেড় বছর আগে কায়সার হাসনাতকে ছেড়ে নিজে মনোনয়নের জন্য মাঠে নামেন এ নেতা। তবে, চাউর আছে ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরুর সাথে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের সাথে সাক্ষাতের পরই পাল্টাতে থাকেন ডাঃ বিরু। বিভিন্ন সময় ডাঃ বিরু শামীম ওসমানকে তার বাড়িতে দাওয়াত করে শামীম ওসমানের বলয়ে রাজনীতি শুরু করেন। সে সময় তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়াকে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ শুরু করেন। এদিকে, কায়সার হাসনাতকে ছেড়ে ডাঃ আবু জাফর চৌধুরীর বিরুর রাজনীতিতে কায়সার হাসনাত ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও জামপুর ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দেখা দিয়েছে দ্ধন্ধ। গত বৃহস্পতিবার রাতে জামপুর সিংলাব চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত যুবলীগের কার্যালয়ে গভীর রাতে আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুল ইসলাম ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আগুনের ঘটনায় শনিবার বিকালে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে ঘঁটনাস্থলে একটি প্রতিবাদ সভা করা হয়। প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। সে অনুষ্ঠানে যুবলীগের কার্যালয়ে আগুনের ঘটনায় দোষীদের সনাক্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কার্যালয়ে আগুনের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান শরিফ দায়ি করেছেন ডাঃ বিরুর সমর্থিত ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলিমকে। এ ঘটনায় দেওয়ান শরীফ বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তবে এলাকাবাসী জানান, যুবলীগের কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনা রহস্য জনক। গত কয়েকদিন যাবৎ বিরুর সমর্থিত জামপুর ছাত্রলীগের সভাপতি সুমনের সাথে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান শরীফের মধ্যে স্থানীয় একটি কোম্পানীকে জায়গা বিক্রি ও বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দ্ধন্ধ চলছিল। সেই দ্ধন্ধের জের ধরে পক্ষ ও প্রতিপক্ষ উভয় পক্ষের লোকজনই এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
জামপুর ইউনিয়ন কিছু আওয়ামীলীগের নেতারা নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্ধ নিয়ে আগুন আগুন খেলায় মেতে উঠায় এর প্রভাব পড়েছে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরুর সমর্থিত স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে। আর এতে নতুন করে দ্বন্ধ শুরু হয়েছে কায়সার হাসনাত ও ডাঃ আবু চৌধুরী বিরুর মধ্যে। আর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমনটাই মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।