নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে কোন দল অংশ গ্রহন না করায় আওয়ামীলীগের প্রতিদ্ধন্ধি এখন আওয়ামীলীগ। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় সোনারগাঁ থানা বিএনপি এখন প্রার্থীদের ট্রামকার্ড। যে যত বেশী বিএনপির ভোট টানতে পারবে সে ততবেশী বিজয়ে দিকে অগ্রসর হবে বলে ধারনা করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জানাগেছে, আগামী ৩১ শে মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় মোশারফ হোসেনকে। কিন্তু এ নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধি কোন দল না থাকায় আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে। সরকারও যাচ্ছে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় নিজ দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে নির্বাচন কিছুটা প্রতিদ্ধন্ধিতা মুলক হবে। সে জন্য দলের বিদ্রোহীদের উপরও কোন চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। এজন্য সোনারগাঁ থেকে নৌকা প্রতিক একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার পরও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী হিসেব একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে।
দলীয় সূত্রে জানাগেছে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সোনারগাঁ উপজেলা থেকে মোশারফ হোসেনকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক দেয়া হয়। অপরদিকে, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম রূপন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু নাঈম ইকবাল, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু ওমর ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর অংশ নিবেন। অপরদিকে, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাছিমা আক্তার, হেলেনা আক্তার, মাহমুদা আক্তার ফ্যান্সী ও শ্যামলী আক্তার।
এদিকে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় সোনারগাঁয়ে বিএনপি বিশাল একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। কারণ গত ৯ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সোনারগাঁ থেকে রেজাউল করিম একাধিকবার এ বিশাল ভোট ব্যাংককে কাজে লাগিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া গত উপজেলা নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম মান্নানও সেই ভোট ব্যাংক কাজে লাগিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার বিএনপি কোন প্রার্থী না থাকায় সে ভোট ব্যাংক যে দিকে যাবে সেদিকে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের দলের ভোটের পাশাপাশি বিএনপির ভোটের দিকে বেশী নজর দিতে হবে। যে যত বেশী বিএনপির ভোট টানতে পারবেন সে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবেন।