নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:

আসন্ন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়ে চলছে প্রার্থীদের গনসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠক। উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ড ও মহল্লায় চলছে বিভিন্ন প্রতিকের মিছিল ও শ্লোগান। গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিকের পোষ্টার। প্রতিদিন চলছে স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাত, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মান্নানের ধানের শীষ ও মহাজোট প্রার্থী লাঙ্গলের লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচার-প্রচারনা। তবে প্রচারনা দিকে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাত ও মান্নান প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করলেও কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার লাঙ্গল প্রতিকের।

জানাগেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ আসন থেকে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এদের মধ্যে বতর্মান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে লড়ছেন, সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতিক নিয়ে লড়ছেন। অপরদিকে, ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে মান্নান লড়ছেন ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে। এছাড়া বাকিরা লড়ছেন অন্যান্য প্রতিক নিয়ে।

গত ১০ তারিখে প্রতিক বরাদ্ধ হবার পর থেকে মাঠে রয়েছেন এসব প্রার্থীরা। তারা বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা বিভিন্ন প্রান্তে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন জনবহুল এলাকাতে দেখা গেছে পোষ্টার ব্যানারের ছড়াছড়ি।

এদিকে, প্রতিক বরাদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করেছেন প্রার্থীরা। এসব প্রার্থীর মধ্যে প্রচার-প্রচারনা দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত। তিনি প্রতিক বরাদ্ধের পর মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় বিশাল জনসভার আয়োজন করেন। সে জনসভা থেকে কর্মীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ে গণসংযোগে। বর্তমানে তিনি প্রতিদিন নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভায় ও গ্রামগুলোতে। প্রচারনার অংশ হিসেবে তিনি প্রতিদিন করছেন সভা সমাবেশ ও উঠান বৈঠক।

এদিকে, ধানের শীষের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান প্রতিক বরাদ্ধের পরই কাঁচপুর জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিলের মধ্যে দিয়ে তার প্রচারনা শুরু করেছেন। প্রতিদিনই তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় গনসংযোগম সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।

অপরদিকে, মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা প্রতিক বরাদ্ধের পরপর গণসংযোগ তেমন একটা না করলেও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার নেতাকর্র্মীদের নিয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। তাছাড়া তিনি মহাজোটের নেতাদের তার পক্ষে সমর্থন নেওয়ার জন্যও ব্যয় করেছেন কয়েকদিন। গতকাল তিনি মহাজোটের নেতাদের নিয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নে গণসংযোগ করলেও তার প্রতিদ্বন্ধি দুই প্রার্থীর চেয়ে কিছুটা পিছনে পড়ে গেছেন তিনি।