নিউজ সোনারগাঁ টোয়েন্টিফোর ডটকম: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তরিঘড়ি করে ভাঙ্গা নাম ফলক অপসারন করে আজ বিকেলে বসানো হলো সোনারগাঁও জি আর ইনস্টিটিউশনের মূল ফটকের নতুন নামফলক। তবে কার উদ্যোগে লাগানো হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে নতুন নাম ফলক লাগানো হয়েছে। নতুন লাগানো নাম ফলকে একটু সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে ভাঙ্গা ফলকটিতে জি আর ইনস্টিটিউশন রেখাটি থাকলেও সেখানে সোনারগাঁও লিখা হয়নি। আর নতুন ফলকটিতে সংশোধন করে সোনারগাঁও জি আর ইনিষ্টিটিউশন এর মেইন গেইট ও সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজের শুভ উদ্ধোধন করেন আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন লেখা হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনারগাঁও জি আর ইনিস্টিটিউশনের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে, খোকাপন্থীরা বলছে এখানে কিছু ভুল ছিল তাই কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গেছে নতুন করে লাগানোর জন্য। বিরোধী পক্ষ বলছে আন্দোলনের চাপে তড়িঘড়ি করে নতুন করে লাগানো হয়েছে
গত মঙ্গলবার কে বা কাহারা সোনারগাঁও জি আর ইনিস্টিটিউশনের মুল ফটকে লাগানো জেলা পরিষদের নাম ফলকটি ভেঙ্গে ফেলে। এ নিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোনারগাঁয়ের সংসদ লিয়াকত হোসেনকে অভিযুক্ত করে বিবৃতি প্রদান করে। যা নিযে গত কয়েকদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ও সোনারগাঁও জি আর ইনিস্টিটিউশনের সামনে সোনারগাঁও পৌরসভা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন। সেখানে লিয়াকত হোসেন খোকাকে নাম ফলক ভাঙ্গার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হয়। এছাড়া লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচি বক্তব্য প্রদান করেন আওয়ামীলীগের নেতারা। এছাড়া গতকাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে লিয়াকত হোসেন খোকার পুত্তলিকা দাহ করা হয়।
অবশেষে আজ বিকেলে ভাঙ্গা নামফলক ফেলে দিয়ে সেখানে একটি নতুন নামফলক বসানো হয়।তবে নাম ফলকটি কার উদ্যোগে নতুন করে বসানো হয়েছে সে ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।