নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনার প্রাদূর্ভাব না কমায় সরকারী বেসরকারী সকল সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও না খোলার ব্যাপারে অনর রয়েছেন সরকার। তবে কবে নাগাদ খোলা হবে সে ব্যাপারে কোন সিদ্বান্ত আসেনি। এমতাবস্থায় ঘরে টেলিভিশনের মাধ্যমে ঘরেে বসে শিখি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। যে পর্যন্ত স্কুল কলেজ না খোলা হয় সে পর্যন্ত তাদের টেরিভিশনের মাধ্যমেই লেখাপড়া চালিয়ে যেতে কলা হয়েছে।
এরমধ্যে অনেক বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা পরিচালনা ও বাড়ী বাড়ী গিয়ে পরিক্ষা পদ্বতি চালু করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিগত দিনের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য টাকা আদায় শুরু করেছে। করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ী বাড়ী গিয়ে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের যাতে পরিক্ষা না নেয় সেজন্য গত ৮ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানেও শিক্ষার্থীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে যাতে পরিক্ষা না নেয়া হয় সেজন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করা হয়।
এদিকে, সোনারগাঁয়ে অনেক কিন্ডারগার্টেন ও কয়েকটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে বাড়ী বাড়ী গিয়ে পরীক্ষা পদ্বতি চালু করেছে। সরকারের সিদ্বান্ত অমান্য করে বাড়ী বাড়ী গিয়ে পরীক্ষা পদ্বতিকে সরকারের সিদ্বান্ত পরিপন্থী উল্লেখ করে ১৬ জুলাই সোনারগাঁ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়,
উপর্যুক্ত বিষয় ও সুত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানাে যাচ্ছে যে, অত্র উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষকগণের অবগতির জন্য জানানাে যাচ্ছে যে , কোন কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষক / শিক্ষিকাগণ শিক্ষার্থীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছেন মর্মে নিম্নস্বাক্ষরকারী অবগত হয়েছে যা সরকারি সিদ্ধান্তে পরিপন্থী । এমতাবস্থায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে পরীক্ষা না নেয়ার জন্য সকল প্রধান শিক্ষকগণকে অনুরােধ করা হলাে । সংসদ টিভিতে সাপ্তাহিক যে পাঠদান হচ্ছে তা যাতে সকল শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হলাে । এছাড়া সরকারিভাবে যে নির্দেশনা আসছে তা অনুসরন করার জন্য বলা হলাে ।
এ প্রসঙ্গে সোনারগাঁ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সরকারী সিদ্বান্ত মোতাবেক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের সিদ্বান্ত ছাড়া কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন বাবদ কোন অর্থ আদায় করতে পারবেনা। এছাড়া পরবর্তি সরকারী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বাড়ী বাড়ী গিয়ে কোন পরিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।