নিউজ সোনারগাঁ টোয়েন্টিফোর ডটকম: আজ ২৯শে ফেব্রুয়ারি শনিবার সোনারগাঁও সরকারি কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিবারসহ প্রায় ৪ সহস্রাধিক লোক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতাদের বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন স্পন্সর করে ইউএস-বাংলা গ্রুপ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর মধ্যে সবচেয়ে চমকপদ ছিল জি বাংলা খ্যাত কণ্ঠশিল্পী নোবেল। দুপুরের পর থেকে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীরা তাদের গানে শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ফাঁকে ফাঁকে শিল্পীদের গান পরিবেশন করা হয়। এতে অনুষ্ঠান শুরু হয় বিরম্বনায়। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ও বিভিন্ন শিল্পীদের গান শেষ হতে প্রায় রাত আটটা বেজে যায়। এদিকে কণ্ঠশিল্পী নোবেল আসবে বলে ক্লোজআপ খ্যাত শিল্পি রাজিব মাত্র ৩ টি গান গেয়ে স্টেজ থেকে নেমে যান। এদিকে নোবেলের জন্য সাউন্ড সিস্টেম প্রস্তুত করতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হলে আগত দর্শকরা অনেকটা ধৈর্য্য হারা হয়ে যায়। পরে তারা ভুয়া ভুয়া বলতে থাকে উপস্থাপক কে লক্ষ্য করে। অবশেষে ৯টার পর শুরু হয় নোবেল এর গান। গান শুরু করে ই নোবেল তার পছন্দমত গান গেয়ে যান। এতে দর্শকরা গান শুনে আশাহত হন। দিনের শুরুতে যেভাবে শিলা, সুকরা ও রাজিব গান গেয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন কিন্তু নোবেল সেই শ্রোতাদের নিরাশ করেন। গান শুনে আগত শ্রোতারা এতই বিরক্ত হন যে সবাই তার গানের মাঝখানে স্টেজ ছেড়ে বাড়িতে চলে যান।
শ্রোতারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় অনেককে বলতে শোনা যায় অযথা ইউএস-বাংলা ৫ লাখ টাকা খরচ করে নোবেলের মত একজন শিল্পীকে নিয়েছে তার চেয়ে আগের কমদামে আনা শিল্পিরাই গান গেছে তারাই আমাদের অনেক আনন্দ দিয়েছে। অযথা তার মত শিল্পির গান শুনে সময় নস্ট করলাম। আগে জানলে এতরাত পর্যন্ত পরিবার পরিজন নিয়ে কস্ট করতাম না। এছাড়া তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুষ্ঠান নিয়েও প্রশ্ন তোলে বলেন এটি একটি কলেজের অনুষ্ঠান অথচ যে ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য চলছে এতে মনে হচ্ছে এটি একটি জনসভা।