নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: স্নাতক ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি নয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে সরকার। সোমবার সংশোধিত নীতিমালায় নতুন বিধানটি সংযোজন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। জ্ঞাপনে বলা হয়, সভাপতি পদে নির্বাচন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি সন্তানকে অবশ্যই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে হবে। এছাড়া বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদেও নির্বাচনের জন্য সন্তান বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হতে হবে এবং তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যুনতম এসএসসি পাস হতে হবে। ১১ সদস্যের কমিটিতে সদস্য সচিব থাকবেন প্রধান শিক্ষক। এর বাইরে নীতিমালায় তেমন বড় সংশোধন নেই। কমিটি গঠন পদ্ধতি, অ্যাডহক কমিটি, কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা, কমিটি বাতিলসহ বিভিন্ন বিষয় নীতিমালায় রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণায়লয়ে এ সিদ্ধাতে সোনারগাঁয়ে অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ হারাতে পারে সভাপতি ও সভাপতি প্রার্থীরা।
জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ১১৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি হতে গত কয়েক মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দৌড়ঝাপ শুরু করেন। সভাপতি হতে নেতাদের দৌড়ঝাপে বাঁধা হয়ে দাড়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দল। দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে রাজনীতি করে আসছে। তবে আওয়ামীলীগের নেতাদের দীর্ঘদিন পর একসাথে এক মঞ্চে দেখা গেছেও মনের দিক দিয়ে এখনো কেউ কাউকে ছাড়া দিতে নারাজ। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক আওয়ামীলীগ নেতা অপর নেতার সমর্থকদের ঠেকাতে তৎপর রয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে, গত ৬ বছর ধরে সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির এমপি ক্ষমতায় থাকায় গত কয়েক বছর তার নির্দেশে যোগ্যতা অনুযায়ী সভাপতি নির্বাচিত করলেও এবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন হওয়ায় এমপির সভাপতি নির্বাচন অধিকারও কিছুটা খর্ব হয়। এমপি একজনকে সভাপতি বানাতে চাইলে চেয়ারম্যান আরেকজনকে চাইছেন ফলে অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সময় শেষ হয়ে গেলেও সভাপতি নির্বাচন করা বিলম্ব হচ্ছে।
তবে অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আদেশে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে হলে তাকে অবশ্যই স্নাতক হতে হবে। এ আদেশের ফলে সোনারগাঁয়ের যে সব নেতারা যোগ্যতা ছাড়া এমপি ও চেয়ারম্যানে তবদিরে সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হতে চাচ্ছিলেন বা অন্য কোন নেতার ক্ষমতার জোরে সভাপতি পদটি বাগিয়ে নিতে চেয়েছেন তাদের উপর খড়ক নেমে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করে শিক্ষার মানন্নোয়নে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি যুগ উপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে।