• বিকাল ৪:৫৮ মিনিট শনিবার
  • ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁ থেকে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হলেন পিতা-পুত্র তীব্র গরমের কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা খুলবে ২৮ এপ্রিল! অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম সোনারগাঁয়ে প্রাথমিকে অনলাইন বদলী আবেদনে অনিয়মের অভিযোগ জামপুরে ৪টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী নিয়ে বাবুল ওমরের নির্বাচনী প্রচারনা সভা সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী বেচা-কেনার হিড়িক সোনারগাঁয়ে নেতাকর্মী বেচা-কেনার হিড়িক সোনারগাঁয়ে করোনা যোদ্ধাকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যার চেষ্টা সোনারগাঁয়ে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় অটোচালক নিহত সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত সোনারগাঁ জাদুঘরে ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা সোনারগাঁয়ে মোটর সাইকেলে বেড়ানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ ঈদে গরীবের ভাগ্যেও জুটছেনা ছাডি মাংস ঈদে গবীরের মাংসের বদলে ভরসা ছাডি মাংস সোনারগাঁ উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের জামাতের সময় সুচি সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সোনারগাঁয়ের বাংলা বাজারে ঈদের জামাত আদায় সোনারগাঁয়ে গরুর মাংস কিনতে না পেরে মুরগী কিনতেও নাজেহার গরীর মানুষ সোনারগাঁয়ে গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া সোনারগাঁয়ে আলোর পথ সমাজ কল্যাণ সংস্থার খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ সোনারগাঁয়ে ইট ভাটায় হামলা গাড়ি ভাংচুর ও হামলায় আহত ৫।
সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিন্মমানের কাপড় দিয়ে ড্রেস বানিজ্যের অভিযোগ

সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিন্মমানের কাপড় দিয়ে ড্রেস বানিজ্যের অভিযোগ

Logo


নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নিম্মমানের কাপড় দিয়ে ড্রেস বানিজ্যের অভিযোগ অভিভাবকদের। এঘটনায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

১৯৭২ সালে স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার্থীরা যে রঙের ড্রেস ব্যবহার করে আসছেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আগের ড্রেস পরিবর্তন করে নতুন ড্রেস বানানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় একজন ছাত্রীকে ড্রেস প্রতি ৯ শত টাকা ও ছাত্রদের ড্রেস প্রতি ৯ শত ১০ টাকা করে প্রদান করতে হবে এবং বিদ্যালয়ের দেয়া নির্ধারিত তিনটি টেইলারে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ড্রেসের মাপ দিয়ে আসতে হবে।

সূত্র জানান, ড্রেস বানানোর জন্য বিদ্যালয়ের পিওন ও ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি চাচাতো ভাই জালালের মাধ্যমে সেই ড্রেস শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয়। তবে সরবরাহ ড্রেসগুলোর কাপড় এতই নিন্মমানের এগুলো গায়ে দিলে গা জ্বালা শুরু হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের মাধ্যমে টাকা প্রদান ও নিন্মমানের কাপড় সরবরাহ করায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এঘটনায় ওই প্রতিষ্টানের কয়েকচন শিক্ষক ও অভিভাবক স্থাণীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও উপজেলান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের আগের ড্রেস অনেক সুন্দর ছিল। আমাদের পছন্দ মত কম দামের কাপড় কিনে ড্রেস বানাতে পারতাম। এছাড়া আমরা বছরের শুরুতে আমরা ড্রেস বানিয়ে ফেলেছি এখন স্কুলের চাপের মুখে পরে বাধ্য হয়েনিন্মমানের কাপড় দিয়ে আবার নতুন ড্রেস নিতে হচ্ছে। নিধারিত সময়ের মধ্যে স্কুলের দেওয়া ড্রেস আমরা না বানালে বা প্রতিবাদ করলে স্কুল ঢুকতে দেওয়া হবে না এমন হুমকি দিচ্ছেন শিক্ষকরা।

মাইনউদ্দিন, মিলন মিয়া, আবু সিদ্দিক, কাইয়ুমসহ একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের সাথে কোন আলাপ-আলোচনা না করে এমন সিদ্ধান্ত আমরা মানতে পারি না। ধনী-গরীব সবার জন্য একই টাকা নিধারণ করেছেন। অনেক অভিভাবক আছেন যাদের ২/৩ জন সন্তান পড়েন কিন্তু নিধারিত টাকা দিতে তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বাহির থেকে তারা আরো কম মুল্যে ড্রেস কিনে দিতে পারতাম সন্তানদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, আমরা কমিটির সিদ্ধান্তে ড্রেসের জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছি। আমাদের কিছু করার নেই।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ড্রেস বানাতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যে যার যার ইচ্ছামত যেখান থেকে পারে নিধারিত রঙের কাপড় দিয়ে বানাতে হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রধান জানান, ড্রেস নিধারণের বিষয়টি স্কুল ম্যানিজিং কমিটির বিষয়। যদি কোন অনিয়মের অভিযোগ পাই তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো ।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution