নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ উপজেলার ১নং আমগাঁও বরগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দু’শতাধিক বেঞ্চ কোন নোটিশ ও ম্যানিজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার মর্জিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করবে বলে সুত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ের ১নং আমগাঁও বরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তার যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছেন এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে কয়েকটি দূর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তারকে কয়েক বার সাময়িক বরখাস্ত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এদিকে বিদ্যালয়ের সভাপতির জোকসাজেসে প্রায় দু’শতাধিক বেঞ্চ বিক্রি করে দেন প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তার এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর । গত সোমবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় বিক্রিত বেঞ্চ বিদ্যালয় থেকে ভোরে বের করার সময় হাতে নাতে আটক করে এলাকাবাসী । এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে শত শত মানুষ জড়ো হতে থাকেন বিদ্যালয়ে। এ সময় প্রধান শিক্ষিকা ও ক্রয় কৃত ব্যক্তি বিক্রিত বেঞ্চ বাহিরে রেখেই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তার শুধু বেঞ্চ বিক্রির টাকা আত্মসাত করা ছাড়াও অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে অবরুদ্ধ করে রাখেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধ থেকে শর্তসাপেক্ষে রক্ষা পায়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার জানান, তার বিরুদ্ধে অনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পূর্ব নোটিশ ছাড়া কোন মালামাল বিক্রি করার নিয়ম নেই। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । আগামী সপ্তাহে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।