নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ বিদায় বেলায় রোগী, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে কাদিয়ে সোনারগাঁ ছাড়লেন সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হালিমা সুলতানা হক। ১ ডিসেম্বর দুপুরে সোনারগাঁয়ের কর্মস্থল থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেন হালিমা হক। এ সময় তাকে বিদায় জানাতে গিয়ে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পরেন। হালিমা সুলতানা হক পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। সোনারগাঁয়ে ইউএইচও হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দীর্ঘদিনের অনিয়ম দূর করে পুরো হাসপাতালকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসেন। নিজে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় হাসপাতালে উপস্থিত থাকতেন ফলে অন্যান্য ডাক্তার ও স্টাফরা যথাসময়ে অফিসে আসতে বাধ্য হতো। ডাক্তারি পেশা যে সম্পূর্ণ সেবা মূলক পেশা তা ডা. হালিমা হক প্রমান করে গেছেন। প্রতিদিন তিনি নিজে শতাধিক রোগী দেখতেন যা এর আগে অন্য কোন ইউএইচও করেনি। রোগীদের সাথে চমৎকার ব্যবহারের জন্য তিনি সকল রোগীর কাছে ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। তিনি অল্প দিনে সোনারগাঁয়ে সকলের প্রিয় পাত্রে পরিনত হন। রোগীদের সেবার জন্য নিজের টাকায় ঔষধ কিনে রোগীদের দিয়েছেন। রোগীরাা ধারাবাহিক ভাবে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়ার কারণে রোগীর সেবা গ্রহনের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল। আগে হাসপাতালে যেখানে সেবা গ্রহনকারী রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র এক দেড় শত সেখানে ডাক্তার হালিমা হকের সময় এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল প্রায় প্রতিদিন গড়ে আট শত। সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ইতিহাসে হালিমা হকের মতো দায়িত্বশীল ইউএইচও আর আসেনি বলে মনে করছেন এখানে সেবা নিতে আসা রোগীরা। তাই রোগীরাও তার বিদায়ের কথা শুনে আবেগ তাড়িত হয়েছেন। পাশাপাশি সংঙ্কা প্রকাশ করেছেন এটা ভেবে যে ডাক্তার হালিমা হকের মতো করে এ হাসপাতাল এখন আর পরিচালিত হবে কিনা? নতুন যিনি আসবন তিনি আদৌ তার মতো করে সাধারণ মানুষকে সেবা দেবেন কিনা? নাকি হাসপাতালের কর্যক্রম আবার আগের মতো অনিয়মে ভরে যাবে।