নারায়নগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খােরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার বিরুদ্ধে এবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন সাঈদা আক্তার শিউলী নামে সেই নারী।
১১ আগস্ট সোনারগাঁ থানায় তিনি এ ডায়েরি করেন । এবার তিনি তার ব্যববসা প্রতিষ্ঠান এস এস ফিলিং স্টেশনে হিসাধনের অভিযােগ এনেছেন। এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপপ্রচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে কাউন্সিলর খােরশেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিউলী।
জিডিতে সাঈদা আক্তার শিউলী বলেন, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে অবস্থিত এস এস এস ফিলিং স্বাধিকারী তিনি। গত শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে একটি সিমেন্ট মিক্সার মেশিনের টেইলর ( ঢাকা মেট্রো – শ : ১১-১৬৩৮ ) এসে হাই ভােল্টেজের দু’টি বৈদ্যুতিক খুনি, বড় দুটি সাইন বোর্ড এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এতে তার প্রতিষ্ঠানের দূই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জিডিতে দাবি করেন শিলী। জিডিতে আরও উল্লেখ করেন, কাউন্সিলর খােরশেদ ও তার স্ত্রী লুনা খন্দকার ট্রান্সপোর্টের মালিক। তিনি ফতুল্লা থানায় ডিজিটাল আইনে যে মামলাটি করেছেন তা তুলে নেয়ার জন্য বেশ কিছুদিন হুমকি দিচ্ছিলেন তারা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস সহ প্রানে মারা ও মিথ্যা মামলা – হামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযােগ তার ।
এই বিয়য়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আল খন্দকার খােরশেদ পাল্টা অভিযােগ করে বলেন, ওই নারী আমাকে না ভাবে হয়রানি করছে। মামলা দিয়ে আমাকে টলতে পারছে না তখন এইসব মিথ্যা অভিযোগে জিডি করছে। ডিজিতে যে বর্ননা দেওয়া হয়েছে তাতে বোঝা যায় এটি একটি সিমেন্ট কারখানার গাড়ি এই ধরনের গাড়ি আমাদের ট্রাপোর্টের নেই । আমাদের ট্রান্সপাের্টের গাড়ী সব পোশাক কারখানায় ব্যবহার হয়। তাই এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ।