তাই শিক্ষার জন্য দূরে গিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ নেই গ্রামগুলোর শিশুদের। ফলে এখানকার প্রায় আশি ভাগ শিশুই থেকে যায় শিক্ষাবঞ্চিত। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে থেকে কিংবা ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি দিয়ে প্রায় বিশ ভাগ শিশু লেখাপড়া করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের বেশির ভাগই শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, জমির কাগজপত্র অনুযায়ী এলাকাটি সোনারগাঁয়ের অধীনে হলেও এখানকার মানুষ আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের ভোটার। এখানে হাজার-তিনেক মানুষের বাস। কিন্তু নেই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেহেতু এখানকার শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ নেই, তাই শিশুদের দিন কাটে খেলাধুলায় আর তাদের বাবাদের সঙ্গে নদীতে মাছ শিকার করে।

কমলাপুর গ্রাম থেকে নির্বাচিত খাগকান্দা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হক জানান, এ এলাকাটি মোট তিনটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। চারদিকে মেঘনা নদী।

যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় পড়াশোনার হার অনেক কম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযুক্ত প্রায় ৮০ ভাগ শিশু বিদ্যালয়ে যায় না। আর মেয়েদের পড়াশোনার হার প্রায় শূন্যের কোঠায়। সরকার যদি এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করত, তাহলে হয়তো শিশুরা এভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতো না।

ওই এলাকার পাশের নুনেরটেক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক খায়রুল আলম খোকন জানান, এলাকাটির দূরত্ব আমাদের স্কুল থেকে চার কিলোমিটারের বেশি। চারদিকে নদীবেষ্টিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ওই এলাকার শিশুদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শিশুই শিক্ষাবঞ্চিত। পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় ছোটবেলা থেকেই বংশ পরম্পরায় তারা মাছ শিকার করে। এলাকাটিতে জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা উচিত।