নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আড়াইহাজারে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ও পরিবেশ দূষণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১৪ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে উপজেলার উপজেলার উত্তাপুর পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ রক্ষা আন্দোলন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, রিভারাইন পিপল, সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন ও উত্তাপুর আদর্শ সমাজকল্যান সংঘের কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক নাদিম ভূঁইয়া মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন। এ সময় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শাহেদ কায়েস, রিভারাইন পিপল’র সংগঠক শঙ্কর প্রকাশ, উত্তাপুর আদর্শ সমাজকল্যাণ সংঘের সহসভাপতি আলী আশরাফ,পুরাতন নদ রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুধুর, রহমান, মমতাজ উদ্দিন, ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়াও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
কলাপাতা রেষ্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন
প্রায় ১৫ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, সোনারগাঁ ও বন্দর উপজেলার সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠান সরাসরি ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দূষণ করছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তারা বলেন, দূষণের কারণে মাছসহ জলজপ্রাণীশূন্য হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। এমনকি স্থানীয় কৃষকরা কৃষিসেচের জন্যও এ নদের পানি ব্যবহার করতে পারছেন না৷ প্রয়োজনে কেউ নদীতে নামলে বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। নদীতে মাছ না থাকায় স্থানীয় জেলেরাও তাদের কাজ হারিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে এমন দূষণ চললেও নদী রক্ষা কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন সবকিছু জেনে শুনে নির্বিকার থাকছে বলেও অভিযোগ তাদের।
নাদিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ অঞ্চলটি দেশের অন্যতম আর্সেনিকপ্রবণ একটি এলাকা। শত বছর ধরে এই এলাকার মানুষ মেঘনা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানির উপর নির্ভরশীল ছিল। পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের ক্রমাগত দূষণের ফলে এই এলাকার কৃষিকাজ থেকে শুরু করে সব কাজেই ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়েছে। এতে স্থানীয় মানুষের উপর আর্সেনিকের প্রভাবও বাড়ছে।’ নদের মাছ হারিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় জেলে ও দরিদ্র মানুষ বড় ধরনের সঙ্কটে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নাদিম বলেন, ‘পানি দূষণের কারনে মাছের সঙ্গে নদী থেকে শামুক ঝিনুকও হারিয়ে গেছে। ব্যঙ, সাপসহ বিভিন্ন প্রাণী হারিয়ে যাওয়ায় পরিবেশে এর বিরুপ প্রভাব পড়েছে।
শাহেদ কায়েস বলেন, ‘সারাদেশেই নদীগুলোকে হত্যা করা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের দশাও দূষণে মারা যাওয়া নদীদের মতো হবে বলে আশংকা করছি। সমাজের প্রতিটি মানুষকে নদী রক্ষায় সচেতন হতে হবে।