নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: দুইদিন পর পবিত্র মাহে রমজান। রমজান ও লকডাউনকে সামনে রেখে মুদি দোকানগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানগুলো সবচেয়ে বেশী ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে ভীড় করছেন। তবে দোকানগুলোতে পুরুষ ক্রেতাদের তুলনায় মহিলা ক্রেতার সংখ্যাই বেশী।
সরেজমিনে শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, উদ্ধবগঞ্জ, কাঁচপুর ও মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে কাঁচাবাজারগুলোতে অধিক পরিমাণ ক্রেতার সমাগম ঘটেছে। রোজা ও লক টাউন কে সামনে রেখে তারা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ে বেশি মনোযোগী হয়েছেন। বিশেষ করে রোজাকে সামনে রেখে ছোড়া, বুট, মুড়ি, তেল, চিনি, বেশন ডাল ও সরবতের দ্রবাদি ক্রয় করছেন। প্রতিটি দোকানেই ছিল অন্যদিনের তুলনায় অতিরিক্ত ক্রেতা। অনেকের ধারনা লক ডাউন শুরু হলে ঘর থেকে হয়তো যখন তখন বেরুনো যাবে না। তাই প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশী কিনে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। অতিরিক্ত ক্রেতার চাপে অনেক দোকানদার হিমশিম খেয়েছেন। ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খেলেও অতিরিক্ত বেচাবিক্রির কারণে দোকানদাররা মহা খুশি।
দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রাবাদি ক্রয় করতে আসা একজন ক্রেতা জানান, সামনে রোজা ও কঠোর লক ডাউন আসছে। এছাড়া রোজায় এমনিতেই অতিরিক্ত খাদ্য দ্রব্যাদি কিনতে হয়। সে জন্য সময় থাকতে চাহিদার তুলনায় একটু বেশী জিনিসপত্র কিনে রাখছেন।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তার দোকানদার, ইসমাইল মুন্সি জানান, গত কয়েকদিন বেচাকেনা কম থাকলে রোজাকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। তারা চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় করায় জিনিসপত্র দিতে হিমশিম খাচ্ছি। মানুষ অতিরিক্ত মালামাল কেনায় জিনিসের দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে অনেক বেচাকেনার জন্য তিনি খুশি। এ সময় তিনি প্রয়োজনের তুলনায় যাতে বেশী না কিনেন সেজন্য তিনি পরামর্শ দেন।