নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা প্রাদূর্ভাবের কারনে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন সোনারগাঁয়ের বেসরকারী ক্লিনিকের চিকিৎসকরা। করোনা ভাইরাস নিজেদের মধ্যে ছড়িয়ে পরতে পারে সে আশংকায় সর্দি কাশি নিয়ে আসা রোগীদের ডাক্তার নেই বলে হাসপাতাল গেইট থেকে কর্তৃপক্ষ বিদায় করে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
অপরদিকে, পিপিই সংকটের কারনে ঢাকা থেকে এসে সেসব চিকিৎসকরা নিয়মিত সোনারগাঁয়ের বে-সরকারী ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত চিকিৎসা দিতেন তারা সোনারগাঁয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ভোগান্তীতে পড়েছে সোনারগাঁয়ের রোগীরা।
জানা গেছে, গত ১৫ তারিখে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে বাংলাদেশে আতঙ্ক শুরু হয়। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে গনজমায়েত বন্ধ করে দিয়ে সকল প্রকার সরকারী বেসরকারী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়। করোনা ভাইরাস দেশের মহামারি রূপ নিতে পারে সেজন্য সরকার ২৫ মার্চ সকল ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ ঘোষনা করে। ২৬ শে মার্চ থেকে দেশের সকর গণপরিবহন বন্ধ ঘোষনা করে সরকারী বে-সরকারী সকল অফিস আদালত বন্ধ ঘোষনা করে। সরকারের এ ঘোষনার পর থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে সোনারগাঁয়ে বে-সরকারী ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকরা আসা বন্ধ করে দেন। এদিকে, পিপিই সংকটের কারণে অনেক চিকিৎসক আসার ইচ্চা থাকলেও নিজেদের সুরক্ষার কারণে সোনারগাঁয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। ঢাকা থেকে চিকিৎসক না আসার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। সে সব চিকিৎসকরা নিয়মিত সোনারগাঁয়ে এসে রোগীর চিকিৎসা দিতে সেসব ডাক্তারা ক্লিনিকে না আসার বেশী বিপাকে পড়েছে সেসব রোগীরা। এছাড়া বেসরকারী ক্লিনিকগুলোতে ডাক্তার না আসায় করোনা আতঙ্কে সর্দি কাশি ও জ্বরের রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না। সেসব রোগীকে ক্লিনিকের গেইট থেকে বিদায় করে দেয়া হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়েছে সোনারগাঁবাসী।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ বেসরকারী ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. নূরেআলম জানান, বর্তমানে ডাক্তারদের সুরক্ষা দিতে পিপিই অত্যান্ত প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পিপিই সংকট থাকায় আমরা তা কিনে ডাক্তারদের সরবরাহ করতে পারছিনা সেজন্য অনেক ডাক্তারা ক্লিনিকে আসতে চায়না। আমরা চেষ্টা করছি ডাক্তারদর প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরজ্ঞামাদি দিয়ে সোনারগাঁবাসীর সেবা করতে।