বাজারে ভোজ্যতেলের চড়া দামে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। স্বল্পমূল্যে তেল কিনতে তাই ভিড় বাড়ছে টিসিবির ট্রাকের সামনে। এদিকে, সরকারিভাবে এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয় গতকাল।
তবে এখনই বাজারে সংকট না থাকায় মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। আর এই দামও দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলছেন ক্রেতারা।
বাজারে সংকট না থাকলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সয়াবিন তেলের দাম। এ অবস্থায় সরকারিভাবে নির্ধারিত বাড়তি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ায় ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সয়াবিন তেল। আর সামনে রোজা এই সময়টা তেলের প্রয়োজনটা বেশি হয়। আর সে জন্য ক্রেতাদের উপর চাপ পড়ে যায়। করোনায় তো কারো আয় বাড়েনি বরং আয় অনেটা কমেছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির ট্রাকে কিছুটা কম দামে সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য বিক্রি চলছে।
তবে ব্যবসায়ীদের গতানুগতিক অজুহাত বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমানোরও প্রস্তাব তাদের।
ডিলাররা বলছেন, তেলের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। দেশে তেলের কোন সংকট নাই। তবে আমরা যাদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করি তারা বলছে আন্তজার্তিক বাজারে তেলের দাম বাড়তি তাই দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।
আর ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এদিকে রমজানে মানুষকে স্বস্তি দিতে তেলের দাম আরও কমানোর দাবি ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের।
এবিষয়ে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, রমজান মাসে তেলের চাহিদা বাড়বে তাই দামও আবারো বাড়বে। তাই সাধারণ ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে তেলের দাম আরও কমানোর জন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের কাছে আবেদন করেছি। ইনডেপেন্ডেন্ট