নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন দান করা লক্ষ্য নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংষ্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, নারায়ণগঞ্জ-৪ এর সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ এর লিয়াকত হোসেন খোকা, সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, নাঃগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজওয়ান উল ইসলাম, স্থানীয় সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণী। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে থাকবেন চিত্রশিল্পী এবং লোক ও কারুশিল্প অনুরাগী মোহাম্মদ আবুল হাসেম খান।
কলাপাতা রেষ্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন
গত রোববার বিকেলে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি ভবনের হল রুমে এক সমন্বয় সভায় মাসব্যাপী এই মেলার কথা জানানো হয়। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজওয়ান উল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম সুমন, জেলা পরিষদ সদস্য আবু নাইম ইকবাল, ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম, ডিসপ্লে অফিসার আবুল কালাম আজাদ, সিকিউরিটি অফিসার শাখাওয়াত হোসেন, সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম সুমন, রবিউল হুসাইন, মাজহারুল ইসলাম, গাজী মোবারক, জহিরুল ইসলাম সিরাজ, নুরনবী জনি, শেখ ফরিদ প্রমুখ। কাল ১৮ জানুয়ারি থেকে এই মেলা ও উৎসব শুরু হয়ে চলবে মাসব্যাপী। ইতোমধ্যে মেলার স্টল সাজানোর কাজ শেষ হয়েছে। তবে এবারের মেলায় বিশেষ আকর্ষণ থাকছে শিশুদের জন্য লোককারুশিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ার ডেমোনেস্ট্রেশন চত্বর স্থাপন।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল ইসলাম জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন দান করাই মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। মেলার পাশাপাশি এই লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুন্দ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি হয়ে থাকে। মেলা চলাকালীন সময়ে দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ফাউন্ডেশন এলাকা।
মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পিদের প্রদর্শনীর জন্য ৩২ স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল স্থান পাচ্ছে। তবে এবারের মেলার ব্যয় কত হচ্ছে প্রশ্ন করার পরও তা জানাননি ফাউন্ডেশনের পরিচালক।