নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ উপজেলায় বেড়ানের নাম করে সপ্তম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীককে ধর্ষণ করেছে ৬ বখাটে বন্ধু মিলে। এঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্র আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
গত সোমবার ২৮ জানুয়ারী স্কুল ছাত্রীকে পাশ্ববতী উপজেলা রূপগঞ্জের হাটাব এলাকা থেকে বড়ানোর নাম করে সোনারগাঁয়ের পেরাব এলাকায় ধর্ষনের ঘটনা ঘটানো হয়।
ধর্ষিতার পরিবারের বরাত দিয়ে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম মিয়া জানান, রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের হাটাব এলাকায় অবস্থিত পারটেক্স সুগার মিলে চাকরি করতেন একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুসুরী গ্রামের ওয়াজউদ্দিনের ছেলে সুমন। প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়ার পথে প্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী কাদির মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৩) সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠে।
সুমন মিয়া নিজেকে অবিবাহিত এবং রাজধানীর বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে গভীর সখ্য গড়ে তোলে। গত সোমবার রূপগঞ্জের পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার পেরাবো এলাকায় অবস্থিত তাজমহলে বেড়ানোর কথা বলে ফুসলিয়ে তাকে নিয়ে যায় সুমন। পরে পেরাবো গ্রামের একটি নির্জন বাড়িতে সে সহ তার আরো ৫ সহযোগী দিনভর ধর্ষণ করে সন্ধ্যায় সেখানে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন সোনারগাঁ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেলিম মিয়া আরো জানান, ধর্ষিতার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় এবং সে ঘটনাস্থল সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা দিতে না পারায় এখন অবধি মামলা নিতে পারেনি পুলিশ। সে সুস্থ্য হলে নিয়মিত মামলা হবে।
এদিকে ধর্ষিতার পিতা জানান, সুমন ও তার সহযোগীরা মামলা না করার জন্য বাড়ি এসে প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দিচ্ছে।