নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া, কাঁচপুর ও মেঘনা শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন স্থানে বসেছেন কোবানীর মাংসের হাট। কোরবানী ঈদের দিন মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে যে মাংস পান গরীর অসহায় লোকজন সে মাংস বিক্রির জন্যই মুলত এ হাট।
আজ (২৯ জুন) বৃহস্পতিবার বিকেলে বিভিন্ন বাজারগুলোতে বসে এ হাট। আর এ হাটের ক্রেতা হলেন যারা কোরবানী না করেন তারা আর খাবার হোটেল মালিকরা। আর এ হাটকে কেন্দ্র করে মাংস মাপার পাল্লা নিয়ে বসেন এক ধরনের মৌসুমী
নিয়ে। দালালরা যেখানে পাল্লা নিয়ে বসেন সেখানে মাংস নিয়ে যান মাংস সংগ্রহকারীরা। তাদের মাধম্যে বিক্রেতা ও ক্রেতার দামাদামি হয়। দামাদামি শেষে মাংস বিক্রির পর মাংস বিক্রেতার কাছ থেকে কেজি হিসেবে মেপে দেয়ার কারণে পাল্লার দালাল রাখেন ১০টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। মাংসের বাজার বসাতে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুই পক্ষই লাভবান।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ছিন্নমুল মাংস বিক্রেতা জানান, বছরের একটা দিন উপলক্ষে তারা মাংস খাওয়ার সুযোগ পান। সে সুযোগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সকাল বেলা বেরিয়ে পড়েন মাংস সংগ্রহে। বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে এক টুকরো দুই টুকরো করে পরিবারের সবাই মিলে অনেক মাংস সংগ্রহ করা হয়ে যায়। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে তারা কারো না কারো বাড়িতে গিয়ে মাংস খাবার ভাগ্যও মিলে যায়। পরিবারের সদস্যদের সংগ্রহ করা মাংস নিজেদের খাবারের জন্য রেখে বাকি টুকু বিক্রি করে দেন এতে কিছু টাকা পান তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাংস বিক্রেতা জানান, আমরা আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে কোরবানী দিতে পারেননি। পরিবারের লোকজনকে কোরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত না করতে চুপচাপ এখানে এসে মাংস কিনে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যদের জন্য।
অপরদিকে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এক চাকরীজীবি জানান, তারা এ এলাকায় বাসাভাড়া থেকে চাকরী করেন। সেজন্য তারা কোরবানী করেননি। কিন্তু পরিবারের পরিজনকে কোরবানীর মাংস খাওয়াবেন না সেটা হতে পারে না সেজন্য তিনি এখানে এসেছেন মাংস কিনতে। এছাড়া এ বাজারে মাংসের দামও কম।