• রাত ১০:১০ মিনিট বুধবার
  • ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : শরৎকাল
  • ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে চাঁদা না দেওয়ায় গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট সোনারগাঁয়ে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ফি কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে স্মারকলিপি সোনারগাঁয়ে প্রবাসীর বাড়ী থেকে ১১’শ কেজি রড চুরি সোনারগাঁয়ে সবজি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই সোনারগাঁ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে ফুলের মালা দিয়ে কলেজে ফেরালেন শিক্ষার্থীরা সোনারগাঁয়ের শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ২৭ মামলার শিকার বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত করলো আওয়ামীলীগ নেতারা সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফের প্রতিপক্ষের হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি: যোগ্যতা নাকি রাজনৈতিক প্রভাব সোনারগাঁয়ে শাওন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সোনারগাঁয়ে নতুন ইউএনও ফারজানা রহমান সুজনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর হুশিয়ারি তুহিন মাহমুদের সোনারগাঁয়ে দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সোনারগাঁ থানা বিএনপির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শিক্ষককে লাঞ্চিত করে পদত্যাগে বাঁধ্য করায় সোনারগাঁয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ সোনারগাঁয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণ-সমাবেশ সোনারগাঁয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরের অধিকাংশ সরঞ্জাম চুরি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পৌর বিএনপি’র দোয়া
দূর্বল হচ্ছে থানা বিএনপি সবল হচ্ছে জাতীয়পার্টি

দূর্বল হচ্ছে থানা বিএনপি সবল হচ্ছে জাতীয়পার্টি

Logo


নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়বাদি দল বিএনপি ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়েছে। দলীয় কোন্দল সঠিক নেতৃত্ব ও হামলা- মামলায় জজ্জরিত হয়ে দলটি ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান থেকে ক্রমশ সরে গিয়ে অন্য দলে ভীড় করছে। আর বর্তমানে সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির এমপির হাত ধরে ভীড়ছে জাতীয়পার্টিতে। ফলে সোনারগাঁ জাতীয়পার্টি ক্রমই শক্তিশালী হচ্ছে আর ক্রমই দুর্বল হয়ে পড়ছে থানা বিএনপি।

জানা যায়, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ দিকে সোনারগাঁয়ে মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার লাঙ্গলের জয় নিশ্চিত জেনে বিএনপির অনেক নেতা প্রকাশ্যে ভীড় করতে থাকে জাতীয়পার্টির দিকে। সেই নির্বাচনের পর সোনারগাঁ থানা বিএনপির অনেক নেতা প্রকাশ্যে জাতীয়পার্টির সভা-সমাবেশে অংশ গ্রহন করে। এছাড়া চলতি বছরের মে মাসে টিপরদীতে এক জনসভা করে ৩ মে স্থানীয় খোকার হাত ধরে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ জামান, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ও তার ভাই যুবদল নেতা খোরশেদ আলম, কাঁচপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সেক্রেটারি মোহাম্মদ হানিফ, তাঁতীদল নেতা মজিবুর রহমান, ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক টিটুসহ শতাধিক নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ এম এ জামানকে আহ্বায়ক ও শফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট সোনারগাঁও পৌরসভা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩০ নভেম্বর শনিবার রাতে সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে আলোচনা সভার মাধ্যমে এই কমিটির অনুমোদন করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। জাতীয় পার্টির কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন মোহাম্মদ আলী, পৌরসভার কাউন্সিলর নাসিম পাশা, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মধু, কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর নাঈম আহমেদ রিপন, কাউন্সিলর দুলাল মিয়া, কাউন্সিলর শাহজালাল, মহিলা কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, মহিলা কাউন্সিলর নুরুন্নাহার রিতা, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রোকসানা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর গরীব নেওয়াজ, সাবেক কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন, মো. শহীদ মিয়া, লিংকন শিকদার, শাখাওয়াত হোসেন, জামাল উদ্দিন, কাউসার আহমেদ ও সাবেক কাউন্সিলর শামীম মীর।

এছাড়া সদস্য পদে আছেন আবু নাইম ইকবাল, পৌরসভার কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, শাহীন মিয়া, ওমর ফারুক টিটু, হাজী আলমগীর, আব্দুর রউফ ভূঁইয়া, মজিবর রহমান, খোরশেদ আলম, চাঁন মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন, শহীদ মিয়া, লাল মিয়া, কিশোর কুমার সরকার, হুমায়ুন কবিরম দারোগ আলী প্রধান, মাহে আলম, কামাল হোসেন, মাসুম মিয়া, লিটন মিয়া, সোলায়মান ব্যাপারী, খোরশেদ আলম, রাজু মিয়া, জসিম উদ্দিন মোল্লা, জহির মিয়া, ডা. আব্দুর কাদির, ডা. সাইফুল ইসলাম, রোকন চৌধুরী, বুলবুল আহম্মেদ, মজিবুর রহমান, আবু বকর চৌধুরী, খোকন মিয়া, মনির হোসেন, ইলিয়াস আলী প্রধান, গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, মুছা খান, আল আমিন রিপন, সোনা মিয়া, অখিল উদ্দিন, আমিন উদ্দিন, বাদল মিয়া, শহিদুল ইসলাম রাজু, ফয়সাল হোসেন, আনিস মিয়া, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী খেজু, আবুল হোসেন, আমান উল্লাহ, নুরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, আয়নাল হোসেন ও মোহাম্মদ হোসেন।

বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদানকারী নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের সঙ্গে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তবে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে টিটু ও হানিফের যোগদানের বিষয়টি। কারণ দুটি পরিবারই বিএনপির রাজনৈতিক পরিবার হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে হানিফের বড় ভাই সেলিম হক রুমি জেলা বিএনপির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, যুবদলের রাজনীতিতে শামীম ও আপেল, ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত ইকবাল হক। তাদের পিতা কাচপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজল হকও বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। কিন্তু এই পরিবারের সদস্য হানিফ গেল জাতীয় পার্টিতে। আবার টিটুর বড় ভাই হারুন অর রশীদ মিঠু জেলা যুবদলের সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন। এর আগে তিনি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তার ছোট ভাই রিতুকেও বিএনপির বিভিন্ন মিটিং মিছিলে দেখা গিয়েছিল। তাদের বাবা সালাউদ্দীনও বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। গত নির্বাচনের আগে দুটি পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরা নাশকতার মামলায় আসামি হয়। সেলিম হক রাজনীতি করেন মান্নানের বলয়ে। ফলে আরও বেশি সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে সোনারগাঁ বিএনপির রাজনীতিতে।

জাতীয়পার্টির নেতারা মনে করেন তাদের দল সুশৃঙ্খল ও উন্নয়ন বান্ধব। বিগত দিনে সোনারগাঁয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বর্তমানেও তাদের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। ভবিষ্যতেও করবেন। সে কারনে থানা বিএনপির অনেক নেতা বিএনপি ছেড়ে জাতীয়পার্টিকে যোগদান করছেন। এছাড়া বিএনপি তাদের সাংগঠনিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। রাজনৈতিক ভাবে তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। সঠিক নেতৃত্বও নেই। সেজন্য বুদ্ধিমান ও উন্নয়ন বান্ধব নেতারা সোনারগাঁয়ে উন্নয়নের অংশীদার হতে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করছেন। আরো অনেকে যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তবে, বিএনপি নেতারা মনে করেন, যারা একদল ছেড়ে অন্য দলে চলে যায় তারা সুবিধাবাধি। তারা নিজেদের পকেট ভারী করতে যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলে ভীড় করে। তারা দলের জন্য শুভকর নয়।


Logo