নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: “তালিকা হচ্ছে হেফাজত জামায়াতকে সহায়তাকারী ব্যবসায়ী আমলাদের শিরােনামে গত ২৫ এপ্রিল রােববার বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যমূলক অপ্রাসঙ্গিক বলেছেন নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হােসেন খােকা। একই সাথে তিনি সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সােমবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক লিখিত বার্তায় এ কথা বলা হয়। লিখিত প্রতিবাদ বার্তায় লিয়াকত হােসেন খােকা উল্লেখ করেন, প্রতিবেদনটিতে আমাকে হেফাজত ঘেষা ও এর স্থানীয় পৃষ্ঠপােষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি যা আমার রাজনৈতিক নীতি আদর্শের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। হেফাজত কিংবা এ সংগঠনটির কোন নেতাকর্মীর সহিত আমার ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কোনরকম সম্পর্ক নাই।
লিয়াকত হােসেন খােকা আরও উল্লেখ করেন, মরহুম আল্লামা আহমদ শফীর উপস্থিতিতে সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক কওমী সনদকে স্বীকৃতি প্রদানের পর সােনারগাঁ বারদী মাঠে স্থানীয় প্রশাসনের যথাযথ অনুমতি নিয়ে আয়ােজিত শােকরানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোআ মাহফিলে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আমিও আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। পরবর্তীতে আহমদ শফী সাহেবের পর তার জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলােচনা সভায় দোয়া মাহফিলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। এরপর হেফাজতের আর কোন অনুষ্ঠানে আমি অংশগ্রহণ করি নাই। পরবর্তীকালে হেফাজতে ইসলাম সােনারগাঁ অডিটোরিয়ামে আয়ােজিত এক অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করলে আমি দ্বিমত পােষণ করায় উক্ত অনুষ্ঠানটিই আর হয় নাই। এরপর পৌরসভার দরপত মাঠে হেফাজত কর্তৃক আয়ােজিত ওয়াজ মাহফিলে আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করলেও আমি সেখানে যাই নাই। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজত কর্তৃক বিভিন্ন নেতিবাচক বক্তব্য ও কর্মকান্ডের কারণে তাদেরকে সােনারগাঁ এলাকায় আর কোন কর্মসূচি পালন করতে দেই নাই। প্রতিবেদনটির এক অংশে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে আমার কথিত বক্তব্যের সঙ্গে হেফাজতের বর্তমান ঘটনা প্রবাহের কোন সম্পর্ক নাই। লিয়াকত হােসেন খােকা আরও বলেন , আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান সরকার, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি বিদ্বেষী একটি কুচক্রী মহল ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আমার সম্পর্কে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত ।