নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা এলাকায় একটি কোম্পানীর বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে মীরেরটেক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জামপুর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর নুরকে আটক করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা এলাকায় একটি কোম্পানীর বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়। এ দ্বন্ধের জের ধরে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন চৌধুরী লিপনের চাচাতো ভাই সাগর চৌধুরীর সাথে জামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুন নূর, আল আমিন ওরফে ডিশ আলামিন, গোলজার, ইদ্রিসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে মিরেরটেক এলাকায় তালতালা পুলিশ ফাঁড়িতে স্থানীয় ফুটবল খেলা নিয়ে একটি সমস্যার সমাধানের জন্য বিচার শালিশে বসে। সেখানে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন চৌধুরী লিপন ও আব্দুন নূর লোকদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রুপের ৫জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন লিপুর নেতৃত্ব এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক অবরোধ করে তার নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে তাদের ওখান থেকে উঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে জামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুন নূরকে আটক করে। পরে রাতেই মিমাংসার আশ্বাসে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া আব্দুন নূরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
আহত আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন চৌধুরী লিপন জানান, আমার চাচাতো ভাইয়ের আক্রশের জের ধরে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ফাঁড়ির সামনে আব্দুন নূরের নেতৃত্বে এ হামলা চালিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে আব্দুন নূর বলেন, লিপন চৌধুরীর চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকা চাওয়ার আমাদের উপর ঈদের আগের দিন হামলা করে তার লোকজন। পরে গত শুক্রবার রাতে আমাদের উষ্কানিমূলক কথাবর্তার জবাবে আমাদের এক ড্রাইভারকে কুপিয়ে আহত করার কারনের আমরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছি।