নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন ঠিক তখনই সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মীরেরটেকে নবনির্মিত পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে মীরেরটেক ফাঁড়ি পুলিশ। তবে, পুলিশ বলেছে ৩ জন নয় তারা একজনকে আটক করেছে।
জানাগেছে, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বরগাঁও রাজবাড়ী গ্রামের মৃত মজিদ ভুইয়ার ছেলে বাদল ভুইয়া ও একই ইউপির চোত্রাপাশা গ্রামের মৃত শুক্কুর মাহমুদের ছেলে মোফাজ্জল হোসেনকে আটক করে মীরেরটেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মনির, এসআই শফিকুল। অপরদিকে একই ইউনিয়নের বৈইলর গ্রামের হারেজ মুন্সির ছেলে আসাদকে আটক করে ফাঁড়ি পুলিশ। পরে আসাদকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে সোনারগাঁ থানায় সোর্পদ করে। তবে, পুলিশের দাবি মোফাজ্জলকে তারা আটক করেনি। মোফাজ্জল মাদক ব্যবসায়ী আসাদকে ছাড়ানোর জন্য তদবির করতে ফাঁড়িতে এসেছিলো। এসময় তাকে আটক করে রেখে কিছুক্ষন পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে পুলিশ জানায় মাদক ব্যবসায়ী বাদল ভাল হয়ে যাবে এমর্মে কিছুদিন আগে ফাঁড়িতে অঙ্গিকার নামা দিয়েছে তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এলাকাবাসী জানায়, মজিদ ভুইয়ার ছেলে বাদল ভুইয়া ও চোত্রাপাশা গ্রামের মৃত শুক্কুর মাহমুদের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশের মাদক তালিকায়ও তাদের নাম রয়েছে।
এব্যাপারে মীরেরটেক ফাঁড়ির ইনচার্জ এহসান জানান, বাদলকে আটক করা হয়েছিল কিন্তু এলাকাবাসীর কথায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, মোফাজ্জলকে আটক করা হয়নি। সে আসাদকে ছাড়াতে এসেছিল তাই তাকে কিছুক্ষনের জন্য আটক করা হয়েছিলো পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা আসাদ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে থানায় সোর্পদ করেছে।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) সাজেদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।