নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ উপজেলার সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা নিউ টাউনের সামনে অবশেষে নির্মিত হলো ফুটওভার ব্রিজ। ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণের ফলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেল মেঘনা শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান শিল্পমালিক, শ্রমিক ও পথচারীরা।
জানাগেছে, মেঘনা সেতু নির্মাণের পর থেকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় গড়ে উঠতে থাকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্টান ও শিল্প কারখানা। মেঘনা শিল্প কারখানা নির্মাণের পর উন্নত হতে থাকে অবকাঠামো। ফলে দিনে দিনে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে মেঘনা ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে। মানুষের অতিরিক্ত চাপের ফলে মেঘনাতে প্রতিষ্ঠিত হয় আধুনিক মার্কেট ও বাজার। এদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য মেঘনা প্রতাপেরচর, ঝাউচর ও ইসলামে পুরের মানুষেরা মহাসড়ক পার হতে হয়। ১৯৮১ সালে মেঘনা সেতু তৈরীর পর সেখানে বসে টোলপ্লাজা। এতে স্বাভাবিক বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপও। ফলে মানুষ রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় ঘটে দূর্ঘটনা। গত ৩০ বছরের এখানে প্রায় ১৫ জনেরও বেশী মানুষ রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। আর পঙ্গু হয় ২০ জনেরও বেশী। সর্বশেষ গত ৬ মাস আগে রহিমা নামের এক মসলা ফ্যাস্টরীর শ্রমিক মারা যায় এখানে সড়ক দূঘর্টনায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শিল্পকারখানার শ্রমিকরা। একটি ফুটওভার ব্রিজের জন্য মানববন্ধন করে তারা। তাদের মানববন্ধনের পর পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানে জোড় তবদিরে গত মাস খানেক আগে এখানে নির্মান করা হয় উপরে ছাউনীসহ একটি আধুনিক ফুটওভার ব্রিজ।
এ ব্যাপারে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্টিজের শ্রমিক রহিমা জানান, ফুট ওভার ব্রিজটি নির্মান হওয়ায় আমরা নিরাপদে রাস্তা পারপার হতে পারছি। ছেলে মেয়েরাও স্কুলে যেতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম জানান, মেঘনা নিউ টাউনের সামনে একটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ ছিল আমাদের অনেক দিনের চাওয়া। বর্তমান সরকার শেষ চাওয়া পুরন করেছে সেজন্য আমি পিরোজপুর বাসীর পক্ষ থেকে সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।