গত শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউপি কার্যালয় থেকে মাত্র ২০০ গজ দক্ষিণে মোজফ্ফর ফাউন্ডেশন-সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে সওজের জায়গা অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে। বালু ভরাটকাজ চলছে এক সপ্তাহ ধরে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আলমগীর হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার নিরীহ লোকদের জমি দখল, আল মোস্তফা গ্রুপের প্রকল্পে ও নূর আলীর প্রকল্পে অবৈধভাবে বালু ভরাট করে লাখ লাখ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এবার তিনি সরকারি জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করে দখলে নিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, সওজের ওই জায়গা দীর্ঘদিন ধরে খালি ছিল। অনুমতি না নিয়েই কয়েক দিন ধরে বালু দিয়ে ভরাট করে জায়গাটি দখলে নিচ্ছেন আলমগীর। এতে সহযোগিতা করছেন সওজ ও স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
পিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, ‘সরকারের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা ভরাট করে নিচ্ছেন আলমগীর মেম্বার ও তাঁর মামা মোক্তার হোসেন। এ বিষয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।’
গতকাল সরকারি (সওজ) জায়গা দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি মামার কাছ থেকে জায়গাটি ক্রয় করে বালু ভরাট করছি। সওজের জায়গায় বালু ভরাটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লিজের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই কাগজ হাতে পাওয়া যাবে।’
মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমার জায়গায় বালু ভরাট করার সময় সওজের কিছু জায়গায় বালু ভরাট হয়ে গেছে।’
পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, ‘সরকারি জায়গায় বালু ভরাটের বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে দেখা হচ্ছে।’
সোনারগাঁ সহকারী কমিশনার (ভূমি) বি এম রুহুল আমিন রিমন বলেন, ‘সরকারি জায়গা বালু ভরাট করে দখলে নিতে দেওয়া হবে না। খুব শিগগির এই বালু অপসারণ করে জায়গাটি দখলমুক্ত করা হবে।’
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলীউল হোসেন বলেন, ‘আমাদের জায়গা দখল ও ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’ সূত্র: কালেরকন্ঠ