নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাদল ওরফে লায়ন বাবুলকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বারদীতে নির্বাচন করেছিল। তিনি বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘বারদীর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বারদী ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল (লায়ন বাবুল) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান হয়ে লায়ন বাবুল দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে।’
‘নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল বিবৃতিতে বলেন, লায়ন বাবুল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছে অশালীন বক্তব্যের কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং স্থায়ী বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই জানান, আপাতত বাবুলকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সুপারিশ করা হবে।
সম্প্রতি সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের পাইকপাড়া দেওয়ান বাড়ির বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে ‘নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নে যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসেন তাহলে অনুমতি লাগবে’ মন্তব্য করেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাবুল ওরফে লায়ন বাবুল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এ চেয়ারম্যান এও বলেছেন, আমাকে কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারবে না। আমার এলাকাতে আমি ম্যাজিস্ট্রেট। আমি যা বলবো তাই হবে। আমি যদি সুইচ অফ বলি তাহলে সেটাই হবে। প্রশাসন আমার পক্ষে কাজ করবে। কারও ফোনে প্রশাসন আসবে না।
বাবুল আরো বলেন, ১৯৭৪ সালের পরে বারদীতে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয় নাই। এটা আপনাদের গর্ব আপনারাই ধরে রাখতে হবে। আগের দিন ভুলে যেতে হবে। আমি শুধু চেয়ারম্যান না আমি আপনাদের বাবুল। শান্তির বাজারে শান্তি থাকবে। বাইরে থেকে কেউ এসে ঝামেলা করলে হাত পা ভেঙে ফেন দিবেন আমি উদ্ধার করবো। হাত পা না ভেঙে আমাকে ফোন দিবেন না। হাতে চুড়ি পড়ে বসে থাকবেন না। আমি আমার যোগ্যতায় চেয়ারম্যান হয়ে এসেছি। তাই কাউকে পরোয়া করি না।