• দুপুর ১২:২৮ মিনিট বুধবার
  • ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : হেমন্তকাল
  • ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে অবরোধের পক্ষে বিপক্ষে মাঠে নেই কোন দল রাতের আধারে সিএসজিতে এসে ট্রাকে আগুন দিলো দুবৃর্ত্তরা বন্দরে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-৪,মোটর সাইকেল জব্দ সোনারগাঁয়ে আওয়ামী-জাতীয়পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ লিয়াকত হোসেন খোকা মনোনয়ন পাওয়ায় পৌর জাতীয়পার্টির আনন্দ মিছিল দলীয় মনোনয়ন পেয়েই জমে উঠেছে নির্বাচন কায়সার হাসনাতকে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা মাদ্রাসার রড চুরি করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চোর হাসপাতালে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরন সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন মাছের ঘের এ উচ্ছেদ অভিযান সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলেন আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সোনারগাঁয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের হার ৯৪.৫১ সোনারগাঁয়ে এইচএসসি ও সমামানের পরিক্ষায় পাশের হার ৯৪.৫১ পান্থপথে লেগুনা চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বন্দরে গ্রেপ্তার প্রেমিকের দেয়া আগুনে মৃত্যু হলো প্রেমিকার নাশকতার মামলায় বিএনপি জামায়েত এর তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার নুনেরটেকে লালপুরীর ৫০তম তরিকত সম্মেলন শুরু সেলিম ওসমানের এবার নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়া অনেকটাই দোদুল্যমান আমরা নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গলের ভার বহন করতে চাই না -আনোয়ার হোসেন এবারও কি সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টি নাকি আওয়ামীলীগ? সমীকরন যা বলছে
সোনারগাঁয়ে আ’লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু

সোনারগাঁয়ে আ’লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু

Logo


নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার এক সপ্তাহ পর আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম- আব্দুল করিম (৬৫)। গতকাল বুধবার বিকেলে পূনরায় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। নিহত আব্দুল করিম বারদী সেনপাড়া গ্রামের মৃত ইছমত সরকারের ছোট ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে পুরো বারদী এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বারদী বাজার এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাজমুল হক গ্রুপের সাথে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল বুধবার সকালে জহিরুল হক ও নাজমুল গ্রুপের সমর্থিত তাজুল ইসলাম প্রতিপক্ষ জাকির গ্রুপের হাসানকে মারধর করে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু ঘটনাস্থলে এসে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। পরে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, লোহার রড, টেঁটা, রামদা, লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় এ সংঘর্ষে জাকির গ্রুপের জাকির সরকার, জাকিরের চাচা আব্দুল করিম, জামাল, মাসুম সরকার, বাসেদ সরকার, মামুন সরকার, সামসুল, হুমায়ুন সরকার ও হাসান, জহিরুল পক্ষের তাইজুল ইসলাম, হযরত আলীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষের পর বারদি বাজারে নাজমুলের লোকজন উত্তেজিত হয়ে জাকির সরকারের পক্ষের মামুন সরকার, মাজহারুল সরকার, হাসান, জাহাঙ্গীরসহ ৫-৬ জনের দোকান ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও ২টি বাড়িঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও বারদী পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশের ৩টি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় একদিন পর সোনারগাঁ থানায় দূ‘গ্রুপের পক্ষে পাল্টা পাল্টি দুটি মামলা রুজু করা হয়।

জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবুর অভিযোগ, বারদি এলাকার নাজমুল হককে নির্বাচনে প্রভাবিত করে ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত করায়। পরবর্তীতে বারদি বাজারে আমাদের লোকজনকে কোনঠাসা করে রাখে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। সংষর্ষের ঘটনায় আমাদের গ্রুপের ১৫ জন লোক আহত হয়েছে। স্থানীয় একটি বিস্তস্থ সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে জাকির ও ইবু গ্রুপের আব্দুল করিম সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ছাড়পত্র পেয়ে বাড়িতে চলে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বুধবার পূনরায় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, আব্দুল করিম নামে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। নিহত ওই ব্যক্তি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছিল কি না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এবিষয়ে থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution