নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলার আলগীরচর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে সাত জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশংকা জনক। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষ আলাদা ভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার সাদেক মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার সকালে সাদেক মিয়ার ছেলে শাকিল হোসেন ও আব্দুর রহিমের ভাগিনা জুয়েল আহাম্মেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সাদের মিয়া, মেয়ের জামাই বকুল মিয়া, ছেলে শাকিল মিয়া, ছেলে শাকির হোসেন ও শ্যালক ওসমান মিয়া সহ ৮/১০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী হকিস্টিক, রামদা, লোহার রড সহ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে আব্দুর রহিমের বোন কুলসুম বেগম, মামা ইউনুস আলী, মেঝ বোন উর্মি আক্তার ও ছোট বোন সোনারগাঁ ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তামান্নাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেন। আহতদের মধ্যে ইউনুস আলীর হাত ও পায়ের হাড় ভেঙ্গে ফেলে ও কুলসুম আক্তারকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে। পরে আব্দুর রহিম ও তার লোকজন একত্রিত হয়ে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে সাদেক হোসেনের ছেলে শাকিল আহম্মেদ, তার আত্মীয় সোহান মিয়া ও মেয়ের জামাই বকুল মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে নারী সহ সাত জন আহত হয়েছে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আব্দুর রহিম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী সাদেক মিয়া ও তার সহযোগীরা আমাদের আত্মীয় স্বজনদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এদিকে সাদেক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের লোকদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করার পর আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে উভয় পক্ষ আলাদা ভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।