নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আগামীকাল রবিবার ৪র্থ ধাপের বৈদ্যেরবাজার ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন সমিকরন চলছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা বা নৌকার প্রার্থী জোড় করে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার হনন করবে। এ শঙ্কায় রয়েছে বৈদ্যেরবাজার ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রব ডাক্তার ও মাহবুব সরকার। ইতিমধ্যে তারা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। প্রশাসনও বলেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তবে মাহবুব সরকারর ও রব ডাক্তার জানান, নৌকার প্রার্থী জোর করে কেন্দ্র দখলের সকল চেষ্টাই করেছেন। তারা জানান, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল আমিন সরকারকে জোর করে বিজয়ী করতে ভোট কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনা করেছে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ নেতাদের গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- ভোটের দিন ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে থাকবে আওয়ামীলীগের ১৫ জন নেতাকর্মী। যারা ভোট কেন্দ্র দখলের মুল মনিটরিং ও কেন্দ্র দখল করে বিপরীত পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রের বুথের ভেতরে বসিয়ে রেখে নৌকার পক্ষে সীল মারার ব্যবস্থা করবেন এবং তাদের সঙ্গে আরো ২৫জন করে কর্মী দেয়া হবে, যারা সীল মারবেন। এসব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে হত্যা মামলার আসামি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের। রয়েছে আওয়ামীলীগের শীর্ষ দু’একজন নেতার নামও।
স্থানীয়দের একাধিক সূত্রে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে গোপন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গোপনে বৈঠকে ১৫ জনের তালিকা তৈরি করা হয়, যারা মুলত ভোট কেন্দ্র দখল ও নিয়ন্ত্রনের মুল দায়িত্বে থাকবেন। এর আগে বৈঠকে নেতাকর্মীরা মত দেন- এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নৌকার বিজয়ের কোনো সম্ভাবনাই নেই। ফলে বিজয়ের বিকল্প পথ হিসেবে ভোট কেন্দ্র দখল করে সীল মারার ব্যবস্থা করতে হবে। যার ফলশ্রুতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নির্বাচনে সোনারগাঁও পৌরসভা, বারদী, সাদিপুর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও মিডিয়াতে আগে থেকেই আশংকা প্রকাশ করে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীও এমন অভিযোগ করে আসছেন।