নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সরকারের নিষেধ অমান্য করে উপজেলার কাইকারটেক ব্রিজে ঘুরতে আসা মানুষকে পুলিশে ধাওয়া দিয়েছে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে গাড়ি, বাইক ও পরিবার পরিজন নিয়ে দিকবেদিক হয়ে পালিয়ে যান কয়েকশত মানুষ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগে করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ জনসমাগম বন্ধ করতে বাধ্য হয়ে ধাওয়া দেন।
জানাগেছে, কাইকারটেক ব্রিজটি সোনারগাঁ ও বন্দর উপজেলার ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উপর অবস্থিত হওয়ার দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের আগমন ঘটে। ঘরবন্দি মানুষ ঈদের দিন ও তারপর পরিবার পরিজন নিয়ে সমাবেশ হতে থাকে ব্রিজের উপর। সন্ধ্যা গড়াতে ব্রিজটি লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। এতো লোকের সমাগমের কারণে করোনা ঝুঁিকতে বাড়তে পারে এটা জেনেও শারীরিক দুরত্ব মানেনি এখানে ঘুরতে আসা মানুষ। ফলে বাধ্য হয়ে এঙ্গলবার বিকেলে বন্দর থানা পুলিশ লাঠি হাতে ব্রিজের পশ্চিম দিক থেকে ধাওয়া শুরু করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। যারা গাড়ী বাইক নিয়ে ঘুরতে গেছেন তারা পুলিশ দেখে গাড়ী ও বাইক নিয়ে দ্রুত ব্রিজ ত্যাগ করেন। অনেকে আবার পরিবারকে সাথে নিয়ে পুলিশের কাছে মাফ চেয়ে আর আসবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাড়া পায়। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে অনেকে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হন।
বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারিতে নারায়ণগঞ্জ জুড়ে লক ডাউন চলেছে। এছাড়া বন্দর ও সোনারগাঁ দুই উপজেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে। সরকার ঈদে মানুষকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু মানুষ সরকারে আদেশ অমান্য করে গত দুদিন ধরে কাইকারটেক ব্রিজে কয়েকশত মানুষ সমাবেশ হচ্ছে। এতে দু উপজেলায়ই করোনা ঝুকিতে আছে। তাই এসব অসচেতন মানুষকে ব্রিজ থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। কোন ধাওয়া দেয়া হয়নি। মানুষ পুলিশ দেখেই দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।