নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: স্ত্রীকে দিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরী না করায় স্ত্রী’কে মারধর করার ঘটনায় বখাটে স্বামী মোরসালিনকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল শনিবার রাতে মোরসালিনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পরে রবিবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বখাটে মোরসালিনকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
জানা গেছে, সোনারগাঁ পৌরসভার ফতেকান্দী গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী আমেনা আক্তারকে (১৯) ১বছর পূর্বে সোনারগাঁ পৌরসভার নিকটের সোনারগাঁ জিআর স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন লাহাপাড়া এলাকা থেকে কয়েকজনসঙ্গীসহ অপহরণ করে জোড় পূর্বক বিয়ে করে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার পঞ্চবটি গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মোরসালিন। বিয়ের একমাস পর থেকে তার স্বামী আমেনাকে দেহ ব্যবসা ও পর্ণগ্রাফী ভিডিও করতে চাপ সৃষ্টি করে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে দেড়লাখ টাকা যৌতুক দিতে নানা সময়ে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। স্বামীর উপর্যোপুরি নির্যাতনে আমেনার দুইকান দিয়ে রক্তক্ষরণ সহ নানাবিধ শারিরিক সমস্যা দেখা দেয়া। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন।
নির্যাতিত গৃহবধু আমেনা আক্তার জানান, আমার স্বামী মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত। তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে নানা সময়ে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এরই মাঝে আমি সন্তান ধারন করলে আমার স্বামী ও শাশুড়ি আমাকে জোড়পূর্বক গর্ভপাত করায়। গত ০৮/০৭/২০২১ তারিখে সে তাদের ভাড়াবাড়িতে আমাকে আবারো তার বন্ধুদের সাথে রাত কাটাতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করার একপর্যায়ে ঘরে থাকা বটি নিয়ে আমাকে জবাই করতে উদ্ধ্যত হলে আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তার মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জার থেকে আমি জানতে পারি সে বিভিন্ন মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মাধ্যমে দেহ ব্যবসা ও পর্ণগ্রাফী তৈরি করে। বিষয়টি আমি জানার পর আমি আমার মামার বাড়িতে চলে আসি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম জানান, স্ত্রী’কে নির্যাতনের ঘটনায় বখাটে মোরসালিনকে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।