নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
কয়দিন পর কোরবানীর ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে গরুর কেনা-বেচার ধুম পড়েছে উপজেলার প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে। এবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২২টি হাটের জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেন। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক প্রথমে ১৪টি অস্থায়ী হাটের ইজারা দেয়। পরে বাকি ৬টি হাটের ইজারা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬টি হাটের দরপত্র বিক্রি হয়েও কেউ ইজারা জন্য দরপত্র আহবান করেনি। ফলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সেই হাটগুলো খাস কালেকশনের জন্য ইউনিয়ন নায়েবদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইজারা ও দরপত্র আহবান করা মোট ১৯টি হাট বসছে উপজেরা বিভিন্ন স্থানে।
তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ প্রতিটি হাটে ইচ্ছা মতো হাসলি হাঁকাচ্ছেন ইজারাদাররা। প্রতিটি হাটে হাজার প্রতি ৪/৫ টাকা হার হাসলি নিচ্ছেন তারা। এতে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করেছে। তারা অনেকটা বাধ্য হয়েই হাসলি দিয়ে গরু কিনে নিয়ে আসছেন।
ক্রেতারা অভিযোগ করেন, এবার যে পরিমান টাকা হাসলি নিচ্ছেন হাট ইজারাদাররা তা সোনারগাঁয়ে এর আগে নেননি। কি কারণে তারা হঠাৎ করে হাজারে ৪/৬ টাকা নিচ্ছেন তার বলতে পারছেনা। আবার অনেকে গরু কিনে টাকা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু হাসলি দিতে দরদাম করতে গিয়ে অপমান অপদস্থ হয়েছেন। অনেকে আবার বাড়ি থেকে টাকা এনে হাসলির টাকা পরিশোধ করে হাট থেকে গরু বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
জানা গেছে, এবার উপজেলা প্রশাসন থেকে ১৫টি হাটের ইজারা দেওয়া হয়। এরমধ্যে সর্বোচ্চ দর ধরা হয়েছে ১লক্ষ ৩৫হাজার টাকা সর্বনি¤œ দর ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। হাটগুলোর দর বাজার তুলনায় সর্বনিম্ন হওয়ার পর ইজারা দাররা তাদের ইচ্ছা মতো হাসলির টাকা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে হাটের ইজারাদাররা জানান, হাট কমদামে নিয়েছি সত্য কিন্তু হাট বসাতে ও তা ব্যবস্থাপনা করতে অনেক খরচ হয়ে যায়। তাই হাসলির টাকা বাড়িয়ে তাদের হাটের খরচ উঠাতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন জানান, সরকারী হিসেবে হাসলির দর হাজারে প্রায় ৮ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। কিন্তু এতো টাকা দরে হাসলি এ এলাকার লোক জন দিতে পারবেনা বিধায় আমরা হাসলির কোন টাকার হার নির্ধারন করেনি।