নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
ঈদ কড়া নাড়ছে দুয়ারে। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে উপজেলা বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে প্রচুর গরু ও ক্রেতার সমাগম ঘটেছে। তবে, ঈদের মাত্র একদিন বাকি থাকায় সবাই আগে ভাগেই কোরবানীর গরুটি কিনে নিয়েছেন।
এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলায় এবার মোট হাট ২৩টি। এর মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ২টি বাকি ১টি রয়েছে পৌরসভায়। গত কয়েকদিনে হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় থাকলেও শেষে এসে মাথায় হাত রেখে না বেচার অফসোস করছেন অনেক বিক্রেতা। এবার পার্শ্ববতি দেশ ভারত, মায়ানমার ও নেপাল থেকে গরু কম আসায় পরে কোরবানীর জন্য গরু না পাওয়া যেতে পারে এ শংকায় কোরবানীর গরুটি আগেই কিনে ফেলেছেন বেশীর ভাগ ক্রেতা।
গত একদিন আগেই সোনারগাঁয়ের পশুর হাটগুলিতে গরু পর্যাপ্ত থাকার পর প্রতিটি হাটেই গরুর দাম চড়া গেছে বলে জানিয়েছেন গরুর ক্রেতারা। অপরদিকে, বিপুল পরিমান ক্রেতা দেখে গরু ব্যবসায়ীরা তাদের গরুটি আরো অধিক মুল্যে বিক্রি করতে পারবেন বলে বিক্রি না করে কালক্ষেপন করেছেন। ফলে শেষ মুর্হুতে এসে ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়েছে অস্থায়ী পশুর হাটগুলি।
সোনারগাঁ উপজেলার ২১টি অস্থায়ী হাটঘুরে দেখা গেছে, সেখানে এখনো প্রচুর পরিমানে কোরবানীর গরু রয়েছে। অপরদিকে, গরুর তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম রয়েছে। অনেকে আবার সোনারগাঁয়ে অস্থায়ী ও স্থায়ী হাটগুলোতে পশুর দাম চড়া থাকায় রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের উপজেলা থেকে গরু কিনেছেন। ফলে শেষ দিকে এসে সোনারগাঁয়ের প্রত্যেকটি হাটে ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়েছে। এতে অনেক গরুর ব্যাপারীরা হতাশায় পড়েছেন। গত দুদিন আগে যে গরুর দাম ১লাখ টাকা বলেছেন সেই গরুর দাম এখন ৮০/৮৫ হাজার টাকা দাম করছেন।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান, খরচ বেশী, খাদ্য ঔষধ, পরিবহন ও রাস্তার খরচ মিলে পশুর দাম বেশী পড়েছে। গতবার যে গরুর ভুসির দাম ২০ টাকা ছিলো সে ভুসির দাম এখন ৩৫ টাকা। এছাড়া অন্যান্য গোখাদ্যগুলোর দাম গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন। তাদের গরু উৎপাদন করতেও অনেক বেশী খরচ হয়েছে। তাই গরুর তৈরীর টাকা তুলতে তাদের কিছুটা বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত একদিন আগে যে গরুর দাম ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দর ছিলো আজ সেটা ১ লাখ ২০ হাজার টাকার উপর বলছেনা। গত দিনের ব্যবধানে ক্রেতার সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।