• রাত ১০:৩৪ মিনিট বুধবার
  • ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : শরৎকাল
  • ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে নোয়াগাঁও ইউপি কার্যালয়ে তালা সোনারগাঁয়ে চাঁদা না দেওয়ায় গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট সোনারগাঁয়ে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ফি কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে স্মারকলিপি সোনারগাঁয়ে প্রবাসীর বাড়ী থেকে ১১’শ কেজি রড চুরি সোনারগাঁয়ে সবজি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই সোনারগাঁ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে ফুলের মালা দিয়ে কলেজে ফেরালেন শিক্ষার্থীরা সোনারগাঁয়ের শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ২৭ মামলার শিকার বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত করলো আওয়ামীলীগ নেতারা সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফের প্রতিপক্ষের হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি: যোগ্যতা নাকি রাজনৈতিক প্রভাব সোনারগাঁয়ে শাওন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সোনারগাঁয়ে নতুন ইউএনও ফারজানা রহমান সুজনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর হুশিয়ারি তুহিন মাহমুদের সোনারগাঁয়ে দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সোনারগাঁ থানা বিএনপির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শিক্ষককে লাঞ্চিত করে পদত্যাগে বাঁধ্য করায় সোনারগাঁয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ সোনারগাঁয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণ-সমাবেশ সোনারগাঁয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরের অধিকাংশ সরঞ্জাম চুরি
ইতিহাস ছোঁয়া বনাম ইতিহাস গড়ার লড়াই

ইতিহাস ছোঁয়া বনাম ইতিহাস গড়ার লড়াই

Logo


ইংল্যান্ড শেষবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল ১৯৯০ সালে। তখনও পরাধীন ক্রোয়েশিয়া। পরের বছর মিলল স্বাধীনতা। এমনই ফুটবল ঐতিহ্য যে স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন দাভর সুকেররা। এবার লুকা মদরিচদের চ্যালেঞ্জ আরও একধাপ এগিয়ে ফাইনালে পৌঁছনো। ইতিহাসের হাতছানির সামনে সুকেরের উত্তরসূরিরা।

কুড়ি বছর পর বিশ্বকাপের শেষ চারে ক্রোয়েশিয়া। আঠাশ বছর পর উঠেছে ইংল্যান্ডও। এখনও পর্যন্ত সাত বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে বড় প্রতিযোগিতায় একবারই দেখা। ২০০৪ সালের ইউরোতে। সেবার ইংল্যান্ড জিতেছিল। শেষ দু’বারের দেখাতেও বড় ব্যবধানে জিতেছে তারা। ইতিহাস, মুখোমুখি সাক্ষাৎ, সবেতেই এগিয়ে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ জেতার ঐতিহ্যও রয়েছে। তবে তার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে। ৫২ বছর পর ফের বিশ্বজয়ের গন্ধ বাতাসে। টেমসের পাড়ে উন্মাদনা তাই অন্য চেহারা নিয়েছে।

ক্রোয়েশিয়া আবার নতুন ইতিহাস লিখতে মরিয়া। প্রথমবারের জন্য ফাইনালে ওঠার তাগিদ শিবির জুড়ে। দলে রয়েছেন মদরিচ, ইভান রাকিতিচের মতো তারকারা। এই দু’জনকে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডারের মধ্যে ধরা হচ্ছে এখন। গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচে জেতা বাড়িয়েছে মনোবল। পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচের মধ্যে চারটিতেই বিপক্ষের চেয়ে বলের দখল বেশি ছিল ক্রোয়েশিয়ার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও বল পায়ে রাখতে চাইবেন তাঁরা।

দলে ভরপুর অভিজ্ঞতা। গোলরক্ষক সুবাসিচ, স্ট্রাইকার মারিও মাঞ্জুকিচরাও পেরিয়ে গিয়েছেন তিরিশের গণ্ডি। দেশের ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকার জন্য সোনালি প্রজন্মের এর চেয়ে ভালো সুযোগ আসবে না।তবে ক্রোয়েশিয়ার দুর্বলতা হল সেটপিস। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালেও ফ্রি-কিক থেকেই হজম করতে হয়েছিল গোল।

ইংল্যান্ডের শক্তি আবার এই সেটপিসেই। রক্ষণের বাঁ-দিক নিয়েও চিন্তা রয়েছে ক্রোয়েশিয়ার। যার সুবিধা নিতেই পারেন ইংল্যান্ডের রাহিম স্টারলিং ও জেসে লিনগার্ড। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তি হলেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। ছয় গোল করে ফেলেছেন তিনি। সোনার বুট পাওয়ার দৌড়ে তিনিই সবার চেয়ে এগিয়ে। তবে ইংল্যান্ড কোনও একজনের ওপর নির্ভর করছে না।সোনার বল পাওয়ার দাবিদার হিসেবে আবার ধরা হচ্ছে মদরিচকে। অর্থাত্, দুই অধিনায়কই দুই দলের প্রাণভোমরা। দু’জনের ওপরই নির্ভর করছে দল। মদরিচ মাঝমাঠ থেকে কখনও কখনও হয়ে উঠছেন ফলস নাইন। গোলও করছেন। আর হ্যারি কেন তো আলো দিচ্ছেন গোলের মাধ্যমে।

ইংল্যান্ড দলে ভিড় তারুণ্যের। প্রত্যেকেই দ্রুত দৌড়ন। কোচ গ্যারেথ সাউথগেট একসূত্রে বেঁধেছেন দলকে। আর এই দল হয়ে ওঠাই শক্তি ইংল্যান্ডের। ক্রোয়েশিয়া অবশ্য মোটেই সমীহ করছে না বিপক্ষকে। বলা হচ্ছে, ইংল্যান্ড যতই দুর্দান্ত দল হোক না কেন, যতই প্রতিশ্রুতিবান দল হোক না কেন, ক্রোয়েশিয়া তুলনায় অনেক ওজনদার।

অর্থাত্, ইংল্যান্ড যতই ঐতিহ্যে ভরপুর হোক না কেন, ক্রোয়েশিয়া অতীত নিয়ে ভাবছে না। বরং ফাইনালকে পাখির চোখ করছেন মদরিচরা!

আজকের লড়াই কোথাও হয়ে উঠছে ইতিহাস ছোঁয়ার সঙ্গে ইতিহাস গড়ার। ইংল্যান্ড আগেও উঠেছে ফাইনালে, চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। হ্যারি কেনদের সামনে তাই ইতিহাস ছোঁয়ার হাতছানি। মদরিচের সামনে আবার নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি। ক্রোয়েশিয়া কখনও বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বাদ পায়নি যে!


Logo