ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার হবে চ্যানেল নাগরিক, মাছরাঙা, সনি টেন-১ ও টেন ২-এ।
ব্রিটিশ পপতারকা রোবি উইলিয়ামসের গানের সঙ্গে স্থানীয় শিল্পী আইদা গারিফুল্লিনা মঞ্চ মাতাবেন। সঙ্গে থাকবেন ২০০২ সালের বিশ্বকাপের শীর্ষ গোলদাতা ও ব্রাজিলের সবশেষ শিরোপা জয়ী দলের তারকা রোনালদো। সুরের মূর্ছনায় বর্ণিল এই আয়োজনের পর মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে নামবে রাশিয়া ও সৌদি আরব।
বিশ্বকাপের এই উদ্বোধনী ম্যাচ কতটা উত্তেজনা ছড়াবে সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকা স্বাভাবিক। কারণ, এবার অংশ নিতে যাওয়া ৩২ দলের মধ্যে সবচেয়ে নিচের র্যাংকিংয়ে রাশিয়া (৭০) ও সৌদি আরব (৬৭)। দুই দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও বাজে।
স্তানিসলাভ চেরচিয়েসোভের দল তো শেষ জয়ের মুখ দেখেছে সেই কবে! ২০১৭ সালের অক্টোবরে কোরিয়াকে হারানোর পর ৭টি ম্যাচ খেলে একটিও জিততে পারেনি রাশিয়া। ‘এ’ গ্রুপে বিশ্বকাপ শুরুর আগে শেষ প্রস্তুতি মাচে তুরস্কের সঙ্গে ড্র করেছে তারা। রাশিয়ার সাবেক উইঙ্গার আন্দ্রেই কানচেলস্কিস তো এই দলকে দেখে হতাশ, ‘এটাই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বাজে রাশিয়ান দল।’ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ও ২০১৬ সালের ইউরোতে একটিও ম্যাচ না জেতা রাশিয়া নামবে জয়খরা কাটাতে।
অবশ্য রাশিয়ার পক্ষে রয়েছে বিশ্বকাপ ইতিহাস। এখন পর্যন্ত উদ্বোধনী ম্যাচে কখনও হারেনি স্বাগতিক দল। ৬টি জয় ও ৩টি ড্র দেখেছে আয়োজক দল।
তবে সৌদি আরবও প্রস্তুত ১২ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরাটাকে রাঙিয়ে দিতে। ইতালি, পেরু ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে টানা তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বমঞ্চে নামছে তারা। এই কঠিন ম্যাচের হারগুলো থেকে তারা খুঁজে পাচ্ছে প্রতিরোধের মন্ত্র।
১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে অভিষেকেই শেষ ষোলোতে উঠে চমকে দেওয়া দলটি গত দুই আসরে ছিল দর্শক। এবার তারা উঠে এসেছে বাছাইয়ে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে। আর অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপের লড়াইয়ে তারা স্বপ্ন দেখছে আরেকটি নকআউট পর্ব, যেই লক্ষ্যে তারা শুরুটা করতে চায় বড় জয়ে।
পরিসংখ্যান কিন্তু সৌদি আরবের পক্ষে। এর আগে একবারই সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই দলের। ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওই প্রীতি ম্যাচে ৪-২ গোলে জিতেছিল সৌদি আরব। ফিফা, স্কাই স্পোর্টস