করোনাভাইরাসের এই মহামারিকালে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে দেশের সব পূজামণ্ডপে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। প্রতিটি মন্দিরের প্রবেশপথে থাকবে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। প্রয়োজনে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থাও করতে হবে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ কুদ্দুস আলী সরকার স্বাক্ষরিত জনস্বার্থে জারি করা এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে আসন্ন দুর্গাপূজায় উৎসব পালনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ পূজামণ্ডপে আরোপিত বিধিনিষেধ আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে আগামী ১১ থেকে ১৫ অক্টোবর সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পূজামণ্ডপগুলোতে আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে পুরোহিত বা ঠাকুররা এবং উপস্থিত পূজারিদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। যেসব মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে সেসব মন্দিরের প্রবেশপথে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা করতে হবে ।
এছাড়া ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন মন্দির, ঢাকাশ্বেরী মন্দির, জয়কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দিরসহ বড় বড় মন্দিরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চনা করতে হবে।
একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা বির্সজনের ব্যবস্থা করতে হবে। আজান ও নামাজের সময় মসজিদ পার্শ্ববর্তী পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা চলাকালে ও বিসর্জনকালে শব্দযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য এবং উচ্চস্বরে শব্দযন্ত্র ব্যবহার না করা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সব ধর্মীয় রীতি-নীতি, পূজা-অর্চনা, মাঙ্গলিক কার্যাদি, প্রতিমা বিসর্জনসহ অন্যান্য কার্যক্রম যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
এতে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী এবং পূজামণ্ডপ পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এমইউ/এমকেআর/এমএস